দীর্ঘদিন পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পেরে আবেগাপ্লুত হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি দানকারী জমিদার জগন্নাথ রায় চৌধুরীর বংশধরেরা। আমন্ত্রণ জানানোয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দিবস উদযাপনে আমন্ত্রণ করা হয় জগন্নাথ রায় চৌধুরীর বংশধরদের। জমিদার জগন্নাথ রায়ের পরিবারের সদস্য কালিশঙ্কর রায়ের স্ত্রী ভারতী রায় চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অনুষ্ঠানে আমাদের ডাকা হয়নি। সর্বশেষ সমাবর্তনে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে ডাকা হয়েছিলো। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ডাকা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পরিবারের সদস্যরা মিলে আজ অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। অনুষ্ঠানে গিয়ে আমার পরিবার আবেগাপ্লুত। তবে আমার প্রত্যাশা সামনের দিনগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উৎসবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হয়তো আমাদের ডাকবে। আমরা আর কিছু চাই না। আশা করি এ প্রতিষ্ঠানটি আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্যসচিব সহকারী অধ্যাপক মিঠুন মিয়া বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের জমিদাতা জগন্নাথ রায় চৌধুরীর বংশধরেরা অংশগ্রহণ করেছেন। এতে আমাদের আয়োজনে ভিন্নমাত্রা যুক্ত হয়েছে। তাদের অংশগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানকে সাফল্য মণ্ডিত করে তুলেছে। ভবিষ্যতে তাদের সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক আরো জোরদার হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত আয়োজনে তাদের অংশগ্রহণ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করবে এবং যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আজকের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এ পর্যায়ে আসার নেপথ্যে তাদের অবদান অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে জমিদাতা জমিদার জগন্নাথ রায়ের বংশধরদের আমন্ত্রণ না জানানোর খবর প্রকাশের পর বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ তাদেরকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানায়।
জানা যায়, বালিয়াটির এক সময়ের প্রতাপশালী জমিদার ও ব্রিটিশ সরকার থেকে রায় খেতাবপ্রাপ্ত কিশোরীলাল রায় চৌধুরী এ দেশের শিক্ষা বিস্তারের জন্য ১৮৬৮ খ্রিষ্টাব্দে তার বাবা জগন্নাথ রায়ের নামে স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর কলেজ, তারপর ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে আইন পাশের মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ নেয়। ১৯ বছরে পদার্পণ করা বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন।