শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, উচ্চ শিক্ষায় গবেষণার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এখন আরও বেশি জোর দিতে হবে। তবেই, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবে। শিক্ষার্থীদের সংখ্যা দিয়ে নয় বরং শিক্ষার গুণগত মান হবে একটা প্রতিষ্ঠানের মান নির্ধারণের মাপকাটি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হবে উচ্চশিক্ষা তথা জ্ঞানচর্চা ও গবেষণার সূতিকাগার।
মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর মিরপুর সেনানিবাসের বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষাবান্ধব সফটওয়্যারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিইউপির উপাচার্য মেজর জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্যরা, বিইউপির বঙ্গবন্ধু চেয়ারের অধ্যাপক, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের সদস্যরা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা, বিইউপির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, সারাবিশ্বে করোনা যখন সবকিছু লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে, শিক্ষাকে এক চরম অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে, ঠিক সেখানেই বিইউপি এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। স্থবিরতার মাঝে প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে বিইউপি শুরু থেকেই অনলাইন ক্লাস, পরীক্ষাসহ অন্যান্য সকল প্রশাসনিক কার্যাবলী সচল রেখেছে। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তির প্রাক্কালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিইউপি যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তা সত্যিই অনন্য।
করোনার মত বৈশ্বিক মহামারির শুরু থেকে অনলাইনে চলমান বিইউপির শিক্ষা কার্যক্রমকে আরও যুগোপযোগী এবং যে কোন প্রতিকূলতার মাঝেও সুচারুভাবে পরিচালনার জন্য বিইউপি একটি সফটওয়্যার প্রবর্তন করছে। এই সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে অনলাইন ক্লাস পরিচালনা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান, শিক্ষার্থীদের সার্বিক একাডেমিক অগ্রগতি বিষয়ক রিপোর্ট, প্রত্যেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর প্রোফাইল ব্যবস্থাপনা, ভিডিও আপলোড, যে কোন প্রকার পরীক্ষা গ্রহণ এবং তা রিমোট প্রক্টোরিংয়ের মাধ্যমে পরিচালনা করা হবে। এছাড়াও থিসিস, টার্মপেপার এবং অ্যাসাইনমেন্ট গ্রহণ যা ‘টার্ন-ইট ইন’ প্লেজারিজম চেকার অ্যাপের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে লেখার মৌলিকত্ব ও স্বচ্ছতা যাচাই করা সম্ভব হবে। এছাড়াও নতুন এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে শিক্ষা ও গবেষণা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হবে।