শিক্ষার সর্বোচ্চ প্রাতিষ্ঠানিক স্তর- বিশ্ববিদ্যালয়। সেই বিশ্ববিদ্যালয়েই ঘটছে একের পর এক যৌন হয়রানির ঘটনা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিপীড়কের তালিকায় আসছে শিক্ষকের নাম। আর রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনেক সময় শক্ত পদক্ষেপ নেয় না কর্তৃপক্ষ-এমন মত শিক্ষাবিদদেরই।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান বলছেন, পদক্ষেপ বলতে শুধু সাময়িক বহিষ্কারেই দায় এড়ানো যাবে না। অন্যদিকে নিপীড়নের ঘটনা রোধে ইউজিসির যেমন মনিটরিং বাড়ানো উচিত তেমনি শিক্ষার্থীদেরও সচেতন হবার তাগিদ দিয়েছেন আইনজীবীরা।
যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শুনতে যত লজ্জারই হোক না কেন বাস্তবতা হলো এমন ঘটনা ঘটছেই। আর সে কারণেই আন্দোলন।শিক্ষার্থীদের নিরপত্তার বিষয়টি দেখভাল করার দায়িত্ব যে প্রক্টরের; সম্প্রতি যৌন হয়রানির অভিযোগ সেই প্রক্টরের বিরুদ্ধেই। রাজধানীর আহসান উল্লাহ্ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ঘটনার আগে গতমাসে রাজশাহী ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন খবর গণমাধ্যমে এসেছে।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি’ করার কথা থাকলেও বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই কমিটির কার্যকারিতা সীমিত। শিক্ষাবিদরা বলছেন, কিছু ক্ষেত্রে কমিটি কার্যকরও থাকেলেও কাজের কাজ কিছুই হয়না।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলছেন, মানবিক ও সামাজিক প্রয়োজনের তাগিদেই এসব অপরাধের বিচার হওয়া উচিত। আর ইউজিসিকেই তৎপর হতে বলছেন আইনজীবীরা।
তার মতে, যৌন অপরাধের যত ঘটনার কথা আমরা জানতে পারি, অপরাধ ঘটে এরচেয়ে অনেক বেশি।
সূত্র: সময় টিভি