বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস জ্ঞান সৃষ্টি ও বিতরণের জায়গা, ভয়ভীতি ও হানাহানির জায়গা নয়। দেশে এখন তিন ডজনেরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় এবং এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও কম নয়। উচ্চতর বিদ্যার জ্ঞান অর্জনে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান থাকলেও শিক্ষার পরিবেশ ও নিরাপত্তা নিয়ে অনেক সন্দেহ রয়েছে। সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনোভাবেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার প্রশ্ন এড়াতে পারেন না। সোমবার (১০ জুন) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়। নিবন্ধটি লিখেছেন এস এম আবদুল্লাহ আল-মামুন।
প্রশাসনের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বহিরাগতরা অবাধে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করছে এবং এদের কারণে মেয়েরা যেমন ইভটিজিংয়ের শিকার হচ্ছে, তেমনি এরা ছিনতাইয়েও অংশ নিচ্ছে। বহিরাগতদের অবাধ যাতায়াতের ফলে মাদকদ্রব্য ক্যাম্পাসের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়ছে। অন্যদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোকে অশান্ত করে রাখে। রাজনৈতিক দলগুলোর স্বার্থ উদ্ধারের বলি হিসাবে অনেক সময় শিক্ষার্থীদের জীবন পর্যন্ত দিতে হচ্ছে, যা মোটেই কাম্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থী পরিবার, দেশ এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সমপদ। বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ঠিক তখনই দেশের জন্য সমপদ হয়ে উঠবে, যখন তারা স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিয়ে স্বাধীনভাবে জ্ঞান চর্চা করতে পারবে। কিন্তু স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিয়ে জ্ঞানচর্চার পরিবেশ সৃষ্টিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। ক্ষুদ্র ব্যক্তি এবং রাজনৈতিক স্বার্থই এর মূল কারণ। দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থের কথা ভেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং সরকার নিরাপদ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস তৈরিতে যাবতীয় ব্যবস্থা নেবে—এটাই আমাদের সকলের প্রত্যাশা।
লেখক: শিক্ষার্থী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়