বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত : অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কী হবে?

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলার বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক ভার্চুয়াল সভায় কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশের স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার সাধারণ ছুটি আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে এবং ১৭ অক্টোবর থেকে খোলা যাবে বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার আগে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অন্য জনবলের শতভাগ টিকা দেওয়ার কাজ ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে। শনিবার (২৮ আগস্ট) যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত এক সম্পাদকীয়তে এ তথ্য জানা যায়। 

সম্পাদকীয়তে আরও জানা যায়, বস্তুত, ১৭ অক্টোবর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলবে-এটা মোটামুটি ধরে নেওয়া যায়। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত সবাই ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে টিকা গ্রহণ করবে। কিন্তু অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খুলবে তা এখনো অনিশ্চিত।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণের হার ৫ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে নেমে এলেই এসব প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। এটা ঠিক, করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণের হার এখন নিুমুখী। সংক্রমণের হার ইতোমধ্যে ১৫ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। সংক্রমণ হারের এই প্রবণতা চলতে থাকলে, এক সময় হয়তো তা ৫ শতাংশের নিচে নেমে আসবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, সংক্রমণের হার যদি আবারও ঊর্ধ্বমুখী হয়, সেক্ষেত্রে কী হবে? 

আমরা আশা করতে চাই, করোনা সংক্রমণের হার অবিলম্বে ৫ শতাংশের নিচে নেমে আসবে এবং তখন দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া সম্ভব হবে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যখনই খোলা হোক না কেন, স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে সর্বাগ্রে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার লক্ষ্যে এরই মধ্যে জেলায় জেলায় কেবল শিক্ষার্থীদের জন্য টিকাদান কেন্দ্র খোলা হবে বলে জানানো হয়েছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পর স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মানা হচ্ছে কিনা, তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে মনিটরিং সেল গঠন করা অত্যাবশ্যকীয় বলে মনে করি আমরা। শিক্ষার্থীরা মাস্ক পরছে কিনা, প্রতিষ্ঠানে ঢোকার সময় তাদের শরীরের তাপমাত্রা কত, তারা সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছে কিনা ইত্যাদি বিষয়ে প্রতিদিনই প্রতিবেদন তৈরি করার প্রয়োজন রয়েছে।

বস্তুত শিক্ষা নিয়ে আমরা উভয় সংকটে রয়েছি। দেড় বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার প্রশ্নের বিপরীতে রয়েছে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার দুশ্চিন্তা। এই উভয় সংকটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে অবশ্যই।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি ১২শ’ শিক্ষার্থীর আতঙ্কে দিন কাটছে - dainik shiksha কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি ১২শ’ শিক্ষার্থীর আতঙ্কে দিন কাটছে বিলেত সফরে শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha বিলেত সফরে শিক্ষামন্ত্রী ডলার সংকটে কঠিন হচ্ছে বিদেশে উচ্চশিক্ষা - dainik shiksha ডলার সংকটে কঠিন হচ্ছে বিদেশে উচ্চশিক্ষা সুপাড়ি চুরির সন্দেহে দুই ছাত্রকে নির্যা*তন - dainik shiksha সুপাড়ি চুরির সন্দেহে দুই ছাত্রকে নির্যা*তন ডক্টরেট ডিগ্রি পেলো বিড়াল - dainik shiksha ডক্টরেট ডিগ্রি পেলো বিড়াল নামী স্কুলগুলোর ফলে পিছিয়ে পড়ার নেপথ্যে - dainik shiksha নামী স্কুলগুলোর ফলে পিছিয়ে পড়ার নেপথ্যে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0046851634979248