বিশ্বের সবচেয়ে অস্বাভাবিক স্কুল যাতায়াত!

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

ভারতের আসামে কিছু খুদে শিশু স্কুলে যেতে যে কঠিন প্রতিবন্ধকতা জয় করছে, তার ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।ভিডিও ভাইরাল তা দেখে অবাক হয়ে সবাই বলছে, এ কেমন স্কুল যাতায়াত!

 

ভিডিওতে দেখা গেছে, রাজ্যটির বিশ্বনাথ জেলায় শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে আর কোনো উপায় না পেয়ে নদীর তীব্র স্রোতের মধ্যে অ্যালুমিনিয়ামের পাত্র চেপে ভেসে ভেসে স্কুলে যাতায়াত করছে। তাতে অনেকে এমন মন্তব্য করেছে, বিশ্বের সবচেয়ে অস্বাভাবিক স্কুল গমন এটা!

 

শিশুগুলো সোতিয়া নামে একটি ছোট্ট গ্রামের। নদীর তীর হয়ে তারা হাঁটতে পারে না। কোনো রাস্তা নেই গ্রামে। তাই স্কুল ব্যাগসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে স্রোতের ‘পক্ষে-বিপক্ষে’ এভাবেই ভেসে যাওয়া আসা করছে খুদে শিক্ষার্থীরা। যা দেখে অবাক চোখে সবাই, কী করে সাহস হয় তাদের!

এ বিষয়ে স্কুলের শিক্ষক জে দাস বলেন, আমি আমার বাচ্চাদের নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। প্রতিদিনই তারা নদী পার হয় অ্যালুমিনিয়ামের পাত্র চেপে। তা-ও নদীটি শান্ত নয়; ভয়ানক স্রোত।

তিনি আরও বলেন, নদীটিতে একটি সেতু হলে এ অসুবিধা হতো না বাচ্চাদের। তাছাড়া আগে তারা কলা গাছের তৈরি ভেলায় ভেসে নদী পারাপার হতো।
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর বিজেপি আইন প্রণেতা প্রমোদ বড়থাকুর (যিনি রাজ্যসভায় এ অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করেন) বলেছেন, এটি দেখতে খুবই লজ্জাজনক।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বড়থাকুর বলেন, সোতিয়া এরিয়ায় কোনো পিডব্লিউডির রাস্তা নেই। আমি জানি না কীভাবে সরকার একটি দ্বীপের মধ্যে স্কুল নির্মাণ করল। আমরা অবশ্যই শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নৌকা সরবরাহ করতে পারি। এছাড়া আমি জেলা কর্মকর্তাকে স্কুলটি ওই জায়গা থেকে স্থানান্তর করতে বলব।

এদিকে, দেশটির সংবাদমাধ্যম প্রশাসনকে দায় দিয়ে বলছে, এমন প্রতিকূলতা অনেক গ্রামেই রয়েছে। অনেক শিশু তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লেখাপড়া করে। এটাতো অবহেলা করা যায় না? যদিও প্রশাসন কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার অভিযোগের পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ - dainik shiksha বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি - dainik shiksha যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি - dainik shiksha তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ - dainik shiksha সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই - dainik shiksha শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী - dainik shiksha বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0033488273620605