বিশ্ব ঘুম দিবস আজ শুক্রবার (১৫ মার্চ)। প্রতি বছর মার্চ মাসের তৃতীয় শুক্রবার বিশ্ব ঘুম দিবস পালিত হয়। এই বছর ১৫ মার্চ বিশ্ব ঘুম দিবস পালিত হচ্ছে। প্রতি বছর বিশ্ব ঘুম দিবসের একটি ভিন্ন থিম থাকে। এ বছর বিশ্ব ঘুম দিবসের থিম 'বৈশ্বিক স্বাস্থ্যের জন্য ঘুমের সমতা'।
যারা ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন মূলত তাদের উপলক্ষ্য করেই দিবসটির প্রচলন। পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী মানুষকে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা, বিষয়টি নিয়ে প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনও এই দিবসটির লক্ষ্য।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, ভালো ঘুমের জন্য একজন মানুষকে অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। বর্তমান সময়ে ঘুম সংক্রান্ত অনেক রোগ যেমন দীর্ঘস্থায়ী ঘুমের অভাব এবং ঘুমের ব্যাঘাতের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্থূলতা, বিষণ্নতা, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকসহ অনেক গুরুতর সমস্যার ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে।
ঘুম দিবসের ইতিহাস
একজন সুস্থ মানুষের জন্য ভালো ঘুম হওয়া খুবই জরুরি। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে মানুষকে নানা রোগে ভুগতে হয়। তাই, ঘুম সংক্রান্ত এই সমস্যাগুলো এড়াতে, ওয়ার্ল্ড স্লিপ সোসাইটি ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রথমবারের মতো ঘুম দিবস শুরু করে। সেই থেকে প্রতি বছর মার্চ মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার বিশ্ব ঘুম দিবস পালিত হয়। এখন বিশ্ব ঘুম দিবস ৮৮টিরও বেশি দেশে পালিত হয়।
ঘুমের জন্য বার্ষিক সচেতনতা ইভেন্টটি একদল চিকিৎসক এবং গবেষকদের দ্বারা শুরু হয়েছিল। বিশ্ব ঘুম দিবসের প্রথম সহ-সভাপতি ছিলেন আপস্টেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটির নিউরোলজির অধ্যাপক আন্তোনিও কুলেব্রাস এবং ইতালির পারমা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোলজির সহযোগী অধ্যাপক লিবোরিও প্যারিনো।
বিশ্ব ঘুম দিবসের তাৎপর্য
বর্তমান সময়ে মানুষ খারাপ লাইফস্টাইল অবলম্বন করছেন, যার কারণে তারা ঘুমের অভাবেও ভুগছেন। ঘুমের অভাবে মানুষ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই মানুষকে সচেতন করতে বিশ্ব ঘুম দিবস পালিত হয়। যাতে মানুষকে বোঝানো যায় যে কাজের পাশাপাশি ভালো ঘুম হওয়া আমাদের জন্য খুবই জরুরি।