বিসিএস পরীক্ষার খাতা দেখায় হেলাফেলা আর ন। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) বসেই বিসিএস লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখতে হবে পরীক্ষকদের। আর বাসায় খাতা নিতে পারবেন না তারা। ৪৫তম বিসিএস থেকেই এ নিয়ম কার্যকর হবে। তবে এবার হবে পাইলটিং। ৪৬তম বিসিএস থেকেই এ নিয়ম পুরোপুরি কার্যকর করতে চাচ্ছে পিএসসি।
পিএসসির চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন বলেন, লিখিত পরীক্ষার খাতা যাতে কম সময়ে দেখা শেষ করে ফলাফল দেওয়া যায়, এজন্য আরও কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে খাতা দেখার ফি ৫০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। ১০০ নম্বরের তিন ঘণ্টার পরীক্ষার উত্তরপত্র পরীক্ষণ ফি ১০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। আগে এ খাতার পরীক্ষণ ফি ছিল ২০০ টাকা। এখন তা ৩০০ টাকা করা হয়েছে। খাতা দেখতে কোন পরীক্ষকরা বেশি সময় নিচ্ছেন তা পর্যবেক্ষণ করেছে পিএসসির একটি কমিটি। খাতা দেখার জন্য পরীক্ষকদের সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ে খাতা দেখা শেষ করতে দফায় দফায় তাগাদাপত্র যাচ্ছে পরীক্ষকের ঠিকানায়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খাতা দেখতে না পারলে ওই পরীক্ষককে আর কোনো খাতা দেখতে না দেওয়ারও সিদ্ধান্ত রয়েছে। পরীক্ষকদের বিষয়গুলো বারবার বুঝিয়ে বলা হচ্ছে। তাদের জন্য কর্মশালাও করা হয়েছে। তারপরও কিছু পরীক্ষক গা করছেন না। সমাজে সুপরিচিত হওয়ায় এসব পরীক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ কম। তা ছাড়া তারা পিএসসিতে চাকরি করেন না।
খ্যাতিমান মানুষ হওয়ায় তাদের কড়াভাবে কিছু বলতেও পারছে না পিএসসি। যদিও একবার দেরি করলে পরের বিসিএসে তাদের খাতা কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে যারা সময়মতো খাতা দেখছেন ও জমা দিচ্ছেন, তাদের আরও বেশি খাতা দেওয়া হচ্ছে। তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে যাদের খাতা কম যায় তাদেরও খাতা বেশি দেওয়া হচ্ছে। পরীক্ষকদের পিএসসিতে বসিয়ে খাতা দেখাতে পারলে বিসিএসের ফল প্রকাশে দীর্ঘ সময় কমে আসবে। আরও কম সময়ে চূড়ান্ত ফল দেওয়া যাবে। তবে এজন্য পরীক্ষকদের আরও বেশি আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান হতে হবে।৪১তম বিসিএসের খাতা দেখা নিয়ে বেশ বিতর্ক হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পরীক্ষক ৬ মাসে ৩০টি খাতা দেখেছেন। আরেক পরীক্ষক খাতা জমা না দিয়েই বিদেশে চলে গেছেন।
পিএসসি চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘বাসায় আর কাউকে খাতা দিতে চাই না। হয়রানির শেষ নেই। পাইলটিংয়ে পজিটিভ রেজাল্ট এলে পিএসসিতে বসেই খাতা দেখতে হবে।’