বিয়ানীবাজারের ১১৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই স্যানিটেশন ব্যবস্থা। বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও এসব বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার নির্মাণ ও সুপেয় পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়নি। এতে শৌচাগার সমস্যায় ভুগছে এসব বিদ্যালয়ের অন্তত ১৫ হাজার শিক্ষার্থী। ফলে পুরোনো ঝুঁকিপূর্ণ ও অস্বাস্থ্যকর টয়লেট ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে একাধিক ধাপে বিয়ানীবাজার উপজেলায় মাত্র ৩৪টি ওয়াশ ব্লক নির্মাণ করা হয়েছে। আরও ২৮টি ওয়াশ ব্লক নির্মাণের কাজ চলমান। অথচ উপজেলায় মোট ১৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। অনেক বিদ্যালয়ে ওয়াশ ব্লক নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ পেরিয়ে গেলেও কাজ শেষ হয়নি।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত কমবাইন্ড আরসিসি ওয়াশ ব্লক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সরকার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর অধীনে বিয়ানীবাজার উপজেলার একাধিক বিদ্যালয়ের শৌচাগার নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের আগস্ট মাসে। কিন্তু অল্প কাজ করার পরই ঠিকাদার লাপাত্তা হয়ে যান।
সরজমিন দেখা যায়, নির্মাণাধীন ওয়াশ ব্লকের গ্রেড বিমের উপরে উঁচিয়ে রাখা লোহার রডেও ধরেছে মরিচা। নষ্ট হয়ে যেতে বসেছে রডের গুণগত মান। এ ছাড়া ছাদ ঢালাই করার পর কাজ বন্ধ হয়ে আছে এমন বিদ্যালয়ও চোখে পড়েছে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় ভেঙে পড়েছে শৌচাগারের গ্রিল ও দেয়াল।
বিদ্যালয় ভবনের সামনে নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখায় অসুবিধায় পড়েছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কর্মকর্তা মো. সুজন মিয়া বলেন, আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে যেসব বিদ্যালয়ে কাজ বাকি রয়েছে তা শেষ হয়ে যাবে। নতুন বরাদ্দ এলে অন্যান্য বিদ্যালয়ে কাজ শুরু হতে পারে বলে জানান তিনি।