গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছে ১৪ বছরের এক স্কুলছাত্রী।
রোববার বিকেল থেকে উপজেলার ছাপড়হাটী ইউনিয়নে বিমল চন্দ্র বর্মণের বাড়ির সামনে অনশনে বসে ওই কিশোরী।
এ ঘটনায় ঘরে তালা লাগিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন প্রেমিক পলাশ চন্দ্র বর্মণসহ (২৩) তার পরিবারের লোকজন। পলাশ বিমলের ছেলে।
জানা গেছে, এক বছর ধরে স্কুলছাত্রীর সঙ্গে পলাশ চন্দ্র বর্মণের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। পলাশ ওই মেয়ের সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন। সম্প্রতি বিষয়টি উভয়ের পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে জানাজানি হলে পলাশকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল মেয়েটি। কিন্তু তাতে পলাশ ও তার পরিবার রাজি হয়নি।
এ নিয়ে এলাকাবাসী ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন ওই স্কুলছাত্রীর বাবা। পরে স্থানীয়রা কয়েকদফা বসেও বিষয়টি সমাধান করতে পারেননি। এ অবস্থায় ওই স্কুলছাত্রী বাধ্য হয়ে বিয়ের দাবিতে পলাশ চন্দ্রের বাড়িতে অনশনে বসে।
কিশোরী জানায়, পলাশের সঙ্গে আমার এক বছরের প্রেম। সে একাধিকবার আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছে। এখন সে বিয়ে করতে চাচ্ছে না। আজ সকালেও সে আমাকে ফোন করে বাড়িতে ডেকেছে। আমি আসার পর পলাশের মা-বাবা আমার চুলের মুঠি ধরে ঘর থেকে বের করে দেন। তখন থেকেই বাড়ির সামনেই বসে আছি। পলাশ আর তার বাড়ির লোকজন সবাই লাপাত্তা। সে যদি আমাকে বিয়ে না করে তাহলে আত্মহত্যা করব।
এ বিষয়ে ছাপড়হাটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কনক কুমার গোস্বামী বলেন, মেয়েটি তার প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশনে বসেছে। সকাল থেকেই ছেলের পরিবারের লোকজন গা ঢাকা দিয়েছে। মেয়েটির নিরাপত্তার কথা ভেবে নারী গ্রামপুলিশসহ দুজনকে পাহারায় রাখা হয়েছে। শুরু থেকেই বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। আশা করি দ্রুত বিষয়টি সমাধান হবে।
সুন্দরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিলন চ্যাটার্জি বলেন, বিয়ের দাবিতে স্কুলছাত্রীর অনশনের বিষয়টি কেউ জানায়নি। তবে, কয়েকদিন আগে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা একটি অভিযোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।