বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার। মহান মুক্তিযুদ্ধে চরম সাহসিকতা আর অসামান্য বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ যে সাতজন বীরকে ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়, তাঁর মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন। আজ তাঁর ৫১তম মৃত্যুবার্ষিকী।
১৯৩৫ সালে নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে জন্মগ্রহণ করেন রুহুল আমিন।
তিনি ১৯৫৩ সালে জুনিয়র মেকানিক্যাল হিসেবে পাকিস্তান নৌবাহিনীতে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার এক দিন পর সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে তিনি নৌঘাঁটি থেকে বেরিয়ে যান। তিনি সীমান্ত পার হয়ে চলে যান ত্রিপুরা এবং যোগ দেন দুই নম্বর সেক্টরে। ভারত সরকার বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে দুটি টাগবোট উপহার দেয়। এগুলোকে বাফার গান ও মাইন-পডজুড়ে গানবোটে রূপান্তর করা হয়। এর নামকরণ করা হয় ‘পদ্মা’ ও ‘পলাশ’। রুহুল আমিন নিয়োগ পান পলাশের ইঞ্জিন রুম আর্টিফিশার হিসেবে।
১০ ডিসেম্বর মোংলা থেকে পদ্মা ও পলাশ খুলনার দিকে আসছিল। রূপসা নদীতে পদ্মা ও পলাশের ওপর ভুল সিগনালের কারণে মিত্র বাহিনীর বিমান থেকে গোলা ছোড়া হয়। এতে পলাশ ধ্বংস হয় ও রুহুল আমিন আহত হন। আহতাবস্থায় তিনি রাজাকারের হাতে ধরা পড়েন। আহত এ বীর সন্তানকে তারা বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে রূপসার পারেই হত্যা করে।