বীর মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষককে ‘শিক্ষা দেয়ার’ হুমকি দিলেন শিক্ষা কর্মকর্তা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি |

কুড়িগ্রামের চিলমারীর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবু সালেহ সরকারের বিরুদ্ধে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষককে ‘উচিত শিক্ষা দেয়ার’ হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুধু হুমকি নয়, তাকে অপমানজনক কথাবার্তা ও ভর্ৎসনা করার অভিযোগ তুলেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. ইনসাব আলী। মো. ইনসাব আলী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবু সালেহ সরকারেরও শিক্ষক ছিলেন বলে জানা গেছে।

বিষয়টি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই বীর মুক্তিযোদ্ধা। মঙ্গলবার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউএনও মো. রাফিউল আলম। তবে শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবু সালেহ সরকার তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 
  
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইনসাব আলী লিখিত অভিযোগে জানান, গত ২৪ আগস্ট চিলমারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সালেহ সরকারকে উত্তর খাউরিয়ার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর খাউরিয়ার চর এলাকা বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও রৌমারী উপজেলাধীন চর শৌলমারী ইউনিয়নের চর খেদাইমারী গ্রামে চর খেদাইমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে কেনো জোরপূর্বক তোলা হয়? কার নির্দেশে সহকারী শিক্ষক মো. আবু হোসেন মোল্লা, লায়লা খাতুন ও মো. মোবারক হোসেন চর খেদাইমারীতে উত্তর খাউরিয়ার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন? এমন প্রশ্ন করলে তিনি আমার (বীর মুক্তিযোদ্ধা ইনসাব আলী) ওপর প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হন এবং আমাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে অপমানজনক অনেক কথা বলেন।

 

তিনি আরো জানান, আমার এক মেয়ে ও এক ছেলে উত্তর খাউরিয়ার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তারা উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মৌখিক নির্দেশে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মহোয়ের মৌখিক নির্দেশনা মোতাবেক চিলমারী উপজেলার উত্তর খাউরিয়ার চর গ্রামে বিকল্প ব্যবস্থা করে ছাত্র ছাত্রীদের দ্বিতীয় সাময়িক পরিক্ষা নিচ্ছেন। ফলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাহেব বলেন আপনার ছেলে-মেয়ে চর খেদাইমারীতে তোলা ভবনে পরীক্ষা না নিলে ওদের বেতন বন্ধ করে দেবো, ‘আপনি পাইছেনটা কী? আপনাকে উচিত শিক্ষা দেবো।’ তখন আমি তার কাছে জানতে চাই, চিলমারী উপজেলার স্কুল রৌমারী উপজেলায় জোরপূর্বক তোলাতে আপনার লাভ কী? আপনি তো সরকারি কর্মচারী। আমার এই প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তিনি আমাকে ভর্ৎসনা করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আবু সালেহ সরকার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইনসাব আলী আমার স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। উনার সঙ্গে আমার এ ধরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। 

ইউএনও মো. রাফিউল আলম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
চলতি মাসে টানা ৪ দিনের ছুটি মিলবে যেভাবে - dainik shiksha চলতি মাসে টানা ৪ দিনের ছুটি মিলবে যেভাবে সিইসিসহ পাঁচ কমিশনারের পদত্যাগ - dainik shiksha সিইসিসহ পাঁচ কমিশনারের পদত্যাগ রাষ্ট্রপতি যেকোনো সময় পদত্যাগ করতে পারেন - dainik shiksha রাষ্ট্রপতি যেকোনো সময় পদত্যাগ করতে পারেন বাতিল কারিকুলামে শিক্ষার্থীরা আরও একবছর ভুগবেন কেন? - dainik shiksha বাতিল কারিকুলামে শিক্ষার্থীরা আরও একবছর ভুগবেন কেন? ডিআইএতে টাকার খেলা, অভিযুক্তরাই স্কুল অডিটে - dainik shiksha ডিআইএতে টাকার খেলা, অভিযুক্তরাই স্কুল অডিটে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই নতুন অ্যাডহক কমিটি হবে - dainik shiksha সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই নতুন অ্যাডহক কমিটি হবে প্রাথমিকে স্বতন্ত্র ক্যাডার সার্ভিস চালুর দাবি - dainik shiksha প্রাথমিকে স্বতন্ত্র ক্যাডার সার্ভিস চালুর দাবি দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0052118301391602