বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে হত্যার সময়কার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ গায়েব করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে প্রভোস্ট কার্যালয় ঘিরে রেখেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রাত ২টা ৬ মিনিটের পর আর কোনো ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না। ওই ফুটেজ পেলে হত্যার বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। যতক্ষণ সিসিটিভি ফুটেজ দেখানো না হবে ততক্ষণ প্রভোস্ট কার্যালয় ঘেরাও করে রাখার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যার ঘটনায় এক ছাত্রকে আটক করা হয়েছে। তার নাম মেহেদি। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
এই হত্যাকাণ্ডের হত্যার বিচার দাবিতে সোমবার দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বুয়েট অভিমুখে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। ‘বুয়েটে ছাত্রহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ‘ নামে প্রতিবাদী একটি ইভেন্টও খুলেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন:
বুয়েটের হলে শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
ফেসবুকে শেষ পোস্টে যা লিখেছিলেন বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যার ঘটনায় আটক ২
রবিবার রাত তিনটার দিকে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলের দ্বিতীয়তলা থেকে আবরার ফাহাদ নামে এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষ।
আবরারের সহপাঠীরা বলছেন, গতরাত আটটার দিকে শেরে বাংলা হলের নিজ কক্ষ থেকে কয়েকজন আবরারকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর রাত দুইটা পর্যন্ত তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাদের ধারণা হলের কোনো কক্ষে নিয়ে তাকে পেটানো হয়। পরে শের বাংলা হলের একতলা ও দুই তলার মাঝখানের সিঁড়ি থেকে আবরারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
কে বা কারা বুয়েটের এই শিক্ষার্থীকে হত্যা করেছে এ বিষয়ে এখনো কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ। বুয়েট কর্তৃপক্ষও এখনো কিছু বলেনি।
ডিএমপি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় জানান, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যারা মৃতদেহ নামিয়েছে এবং যারা ফাহাদকে ডেকে নিয়ে গেছে তাদের ফুটেজ পুলিশ খতিয়ে দেখছে বলে জানান তিনি।
কৃষ্ণপদ রায় আরও বলেন, এই ঘটনায় যে-ই জড়িত থাকুক, সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এছাড়াও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল ও সহ সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদকে পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত কমিশনার।
আবরার ফাহাদ বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের লেভেল-২ এর টার্ম ১ এর ছাত্র ছিলেন। তিনি শের-ই বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ায়। কুষ্টিয়া জেলা স্কুলে তিনি স্কুলজীবন শেষ করে নটরডেম কলেজে পড়েন।