ভুল তথ্যের কারণে কিছু শিক্ষার্থীর বৃত্তির টাকা তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো যায়নি বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। তবে, বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রির এমআইএস সফটওয়্যার উন্নয়নের কাজ চলমান থাকায় এসব শিক্ষার্থীর তথ্য সংশোধনে এখনই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এসব শিক্ষার্থীর ভুল তথ্য সংশোধনের পর পরবর্তীকে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বৃত্তির টাকা পাঠানো হবে বলে শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে।
অধিদপ্তর থেকে বিষয়টি জানিয়ে সব সরকারি বেসরকারি স্কুল-কলেজের প্রধান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, মেডিকেল ও প্রকৌশল কলেজে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ২০১৯- ২০২০ অর্থবছর থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের রাজস্ব খাতভুক্ত সকল ধরনের বৃত্তির টাকা জিটুপি পদ্ধতিতে ইএফটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ব্যাংক হিসেবে পাঠানোর জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা রয়েছে। সে অনুসারে ২০১৯-২০২০ অর্থবছর থেকে অর্থ বিভাগের এসপিএফএমএসপি প্রকল্পের এমআইএস সফটওয়্যারের আওতায় বৃত্তির টাকা শিক্ষার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হচ্ছে। বৈশ্বিক অতিমারির কারণে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাস থেকে এখন পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠান প্রধানের সহযোগিতায় ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে ১ লাখ ২৪ হাজার ২৪৮ জন শিক্ষার্থীকে ৩৫ কোটি ২৯ লাখ ৫২ হাজার ৮৭০ টাকা এবং ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এমআইএস সফটওয়্যারে সঠিকভাবে এন্ট্রিকৃত ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৫৪৪ জন শিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাবে ২৩৮ কোটি ৮ লাখ ২৫ হাজার ৪০ টাকা পাঠানো হয়েছে।
এমআইএস সফটওয়্যারে এন্ট্রিকৃত বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তথ্য যাচাই করে দেখা যায়, কিছু শিক্ষার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর ব্যাংক ও শাখার নাম, রাউটিং নম্বর, বৃত্তির ধরণ, পাশের বছর, অধ্যয়নরত শ্রেণি, বাবা-মায়ের এনআইডি নম্বর, একই শিক্ষার্থীর তথ্য একাধিকবার এন্ট্রি করা ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকার ভুল তথ্য প্রতিষ্ঠান থেকে এমআইএস সফটওয়্যারে এন্ট্রি হয়েছে। আবার কিছু শিক্ষার্থীর তথ্য সঠিক থাকলেও শিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাব অ্যাকটিভ না থাকায় পাঠানো টাকা বাউন্স ব্যাক হয়েছে। এসব ভুল তথ্যের কারণে বৃত্তিপ্রাপ্ত কিছু শিক্ষার্থীর বৃত্তির অর্থ তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো করা সম্ভব হয়নি।অধিদপ্তর আরও বলছে, বর্তমানে শিক্ষা অধিদপ্তরের নিজস্ব এমআইএস সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের কাজ চলমান থাকায় রাজস্ব খাতভুক্ত বৃত্তিপ্রাপ্ত (মেধা ও সাধারণ কোটা এবং বিভিন্ন সম্প্রদায় বা শ্রেণির উপবৃত্তি ও পেশামূলক বৃত্তি) শিক্ষার্থীদের নতুন তথ্য এন্ট্রি ও ভুল তথ্য সংশোধন সংক্রান্ত সকল কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ আছে।
বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে অধিদপ্তর বলছে, এমআইএস সফটওয়্যারের ডেভেলপমেন্ট কার্যক্রম শেষ হলে পুনরায় তথা এন্ট্রি ও ভুল সংশোধনের জন্য বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো হবে। যেসব শিক্ষার্থী বৃত্তির টাকা পায়নি প্রতিষ্ঠান থেকে ভুল তথ্য সংশোধন সাপেক্ষে পরবর্তীতে বিধি মোতাবেক তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হবে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।