বৃত্তির টাকা পেতে এসএসসি উত্তীর্ণদের তথ্য সফটওয়্যারে অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক |

জিটুপি পদ্ধতিতে বৃত্তির টাকা পাঠাতে এসএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে বৃত্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তথ্য এমআইএস সফটওয়্যার অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। আগামী ৫ জানুয়ারি থেকে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে বৃত্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তথ্য এমআইএস সফটওয়্যারে অন্তর্ভুক্ত করা শুরু হবে। ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের তথ্য সফটওয়্যারটিতে এন্ট্রি করা যাবে। 

সোমবার (৪ জানুয়ারি) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তা ও সরকারি-বেসরকারি কলেজগুলোর অধ্যক্ষদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। 

শিক্ষার্থীদের বৃত্তির টাকা পাওয়ার ভোগান্তি কমাতে সরাসরি জিটুপি এর আওতায় অনলাইনে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে বৃত্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের গেজেট প্রকাশ করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। জিটুপি পদ্ধতিতে ইএফটির মাধ্যমে সরাসরি শিক্ষার্থীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠাতে এমআইএস সফটওয়্যারে বৃত্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রি করতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয়েছে। 

এমআইএস সফটওয়্যারে তথ্য অন্তর্ভুক্ত করতে কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থী নিয়মিত ও ধারবাহিবাহিকভাবে অধ্যয়নরত রয়েছে তা নিশ্চিত  হয়ে তথ্য অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়েছে। পাঠবিরতিতে আছে এমন শিক্ষার্থীদের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রি করা যাবে না। এসব শিক্ষার্থী কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে বৃত্তির টাকা পাবে। 

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, অনলাইন সুবিধা সম্পন্ন তফসিলভুক্ত ব্যাংকে শিক্ষার্থীদের নিজ নামে বা ১৮ বছরের নিচে হলে বাবা-মায়ের সাথে যৌথ নামে বা স্কুল ব্যাংক হিসাব খুলতে হবে। যৌথ নামে ব্যাংক হিসাব বা স্কুল ব্যাংক হিসান খোলা হলে এমআইএসে তথ্য এন্ট্রির ক্ষেত্রে যৌথ নাম অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। শিক্ষার্থীর একক বা যৌথ নামের অ্যাকাউন্ট ছাড়া বাবা-মা বা অন্য কোন অভিভাবকের ব্যাংক হিসাব দেয়া যাবে না। অনলাইন ব্যাংক হিসাব নম্বর অবশ্যই ১৩ থেকে ১৭ ডিজিটের মধ্যে হতে হবে। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে। কোন এজেন্ট ব্যাংকের হিসাব নম্বর দেয়া যাবে না। 

এছাড়া শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পরীক্ষার নাম, বছর, বৃত্তির ক্যাটাগরি, ব্যাংকের নাম, ব্যাংকের শাখার নাম সঠিকভাবে পূরণ করতে নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। তথ্য পাঠানো ক্ষেত্রে ভুল হলে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও কর্মকর্তারা দায়ী থাকবেন বলে বলেছে শিক্ষা অধিদপ্তর। ৫ জানুয়ারি থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের তথ্য পাঠানো সুযোগ পাবেন প্রতিষ্ঠান প্রধান ও কর্মকর্তারা। 

এইচএসসি-এমআইএস সফটওয়্যারের নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (http://hspbd.com/HSP-MIS/login) ইউজার নেইম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে তথ্য অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা - dainik shiksha শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0069901943206787