বৃত্তির টাকা পেতে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রি-সংশোধন বুধবারের মধ্যে

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

রাজস্ব খাতে বৃত্তির টাকা পেতে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রি ও সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। আগামী বুধবারের (১৫ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে এইচএসপি-এমআইএস অনলাইন সফটওয়্যারে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রি ও সংশোধনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে সব সরকারি বেসরকারি মাদাসার অধ্যক্ষ ও সুপারকে। সম্প্রতি দেশের সব সরকারি বেসরকারি মাদরাসার প্রধানকে শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রি ও সংশোধনের নির্দেশ দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।

অধিদপ্তর থেকে জারি করা আদেশে বলা হয়েছে, কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পাঠানো বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্যে এন্ট্রি না করায় ও কিছু শিক্ষার্থীর বাবা-মায়ের নাম, পরীক্ষার নাম, বছর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বৃত্তি ধরণ, ব্যাংক হিসাব নম্বর, ব্যাংক ও শাখার নাম, রাউটিং নম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তথ্যসহ বিভিন্ন ধরণের ভুল রয়েছে। তথ্য ভুল থাকায় বিভিন্ন অর্থবছরের কিছু শিক্ষার্থীর বৃত্তির টাকা তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো সম্ভব হয়নি। বিভিন্ন অর্থবছরের বিভিন্ন শ্রেণির বৃত্তি পাওয়া যেসব শিক্ষার্থীর তথ্য এমআইএস সফটওয়্যারে এন্ট্রি করা যায়নি বা ভুল এন্ট্রির কারণে ব্যাংকের হিসেবে টাকা পাঠানো সম্ভব হয়নি তাদের তথ্য ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এমআইএসে এন্ট্রি ও সংশোধনের জন্য মাদরাসার প্রধান বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বলা হলো। 

তথ্য এন্ট্রি ও সংশোধনে মাদরাসা প্রধানদের কিছু নির্দেশনা দিয়েছে অধিদপ্তর। নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী নিয়মিত ও ধারাবাহিকভাবে অধ্যয়নরত রয়েছে নিশ্চিত হয়ে তথ্য এন্ট্রি করতে হবে। পাঠবিরতি রয়েছে এরূপ শিক্ষার্থীর তথ্য এন্ট্রি করা যাবে না। অনলাইন সুবিধাসম্পন্ন তফসিলভুক্ত যেকোন ব্যাংকে শিক্ষার্থীর নিজ নামে বা ১৮ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীদের বাবা-মার সঙ্গে যৌথ নামে ব্যাংক হিসাব বা স্কুল ব্যাংক হিসাব খুলতে হবে। যৌথ নামে ব্যাংক হিসেব খোলা হলে এমআইএসে তথ্য সংশোধনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের নামের স্থলে উভয়ের নাম এন্ট্রি করতে হবে। শিক্ষার্থীর পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও জন্মসনদের নাম ও অনলাইন ব্যাংক হিসাবের নাম অভিন্ন হতে হবে। অনলাইন ব্যাংক হিসেব নম্বর অবশ্যই ১৩ থেকে ১৭ ডিজিটের মধ্যে হতে হবে এবং সঠিক ও নির্ভুলভাবে তা পূরণ করতে হবে। মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের নম্বর দেয়া যাবে না। বৃত্তির ক্যাটাগরি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। শিক্ষার্থীর পরীক্ষার আইডি ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পরীক্ষার নাম ও বছর সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। ব্যাংকের নাম, শাখার নাম, রাউটিং নম্বর ও শিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাব নম্বর সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। তথ্য প্রেরণের ক্ষেত্রে ভুল বা অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে প্রতিষ্ঠান প্রধান বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দায়ী থাকবেন। 

তথ্য সংশোধন করতে ক্লিক করুন

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল    SUBSCRIBE   করতে ক্লিক করুন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
জোর করে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের পদত্যাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করা হুঁশিয়ারি - dainik shiksha জোর করে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের পদত্যাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করা হুঁশিয়ারি রাজনীতি করি না, ভবিষ্যতেও করবো না: ঢাবির নতুন ভিসি - dainik shiksha রাজনীতি করি না, ভবিষ্যতেও করবো না: ঢাবির নতুন ভিসি চার তারিখের মধ্যে মাদরাসা শিক্ষকদের এমপিওর আবেদন - dainik shiksha চার তারিখের মধ্যে মাদরাসা শিক্ষকদের এমপিওর আবেদন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক আমানুল্লাহ - dainik shiksha জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক আমানুল্লাহ দীপু-টিপু-রতন সিন্ডিকেটের ঘুষের সাম্রাজ্য - dainik shiksha দীপু-টিপু-রতন সিন্ডিকেটের ঘুষের সাম্রাজ্য এনসিটিবির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের শাস্তি দাবি বৈষম্যবিরোধীদের - dainik shiksha এনসিটিবির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের শাস্তি দাবি বৈষম্যবিরোধীদের কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0025098323822021