প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফলে নানা ভুল ও ক্রটি শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা না দিয়েও অনেকে বৃত্তিপ্রাপ্তের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ভুল-ক্রটি সংশোধন করতেই ফল স্থগিত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। সংশোধনের পর ফলে পরিবর্তন আসবে বলে জানা গেছে। বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার রাতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তােদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিপিইর পরিচালক (প্রশিক্ষণ বিভাগ) ড. উত্তম কুমার দাস বলেন, দু’টি উপজেলার ওয়েবসাইটে ফল কোডিং আকারে প্রবেশ করার সময় একই কোডে প্রবেশ করায় এমন বিপর্যয় ঘটেছে। এ দুই উপজেলার কোড যখন কম্পিউটারের মূল প্রোগ্রামের প্রবেশ করেছে তখনই এমন ভুল হয়েছে। এ ভুলোগুলো যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ঘটে। কিন্তু সেই যান্ত্রিক ত্রুটির বিষয়টি বোঝা যায়নি। ফলে ভুলই রয়ে গেছে। সে কারণে অনেকের ভুল ফল এসেছে। বৃত্তিপ্রাপ্ত অনেকে তালিকা থেকে বাদ পরেছে।
তিনি বলেন, এর আগে এমন ঘটনা ঘটেনি। তবে এবার যেহেতু অনেকগুলো উপজেলাভিত্তিক কাজ করতে হয়েছে সেহেতু এসব তথ্য ইনপুট প্রবেশ করার ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে আইটি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা সমস্যাগুলো সমাধান করছেন। সমাধান হলে ফলে অনেক পরিবর্তন আসতে পারে। বুধবার ফের ফল প্রকাশ করা হবে। তবুও নিয়মানুযায়ী তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের কথা কতটা সত্য অথবা এর পেছনে অন্য কিছু আছে কিনা খতিয়ে দেখা হবে। ফল প্রকাশের ক্ষেত্রে লম্বা সময় পেয়েও এমন ঘটনা অপ্রত্যাশিত।
জানা গেছে, বৃত্তির ফলের ত্রুটি খতিয়ে দেখতে প্রশাসন বিভাগে পরিচালক এস এম আনছারুজ্জামানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্য তদন্ত কাজ শেষ করে বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
কারিগরি ত্রুটির কারণে প্রাথমিক বৃত্তির ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে বলে অনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ফল পুনঃযাচাই করে বুধবার পুনরায় প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।