বৃত্তি পরীক্ষায় দায়িত্ব বণ্টনে অনিয়মের অভিযোগ

কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি |

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় দায়িত্ব বণ্টনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জুনিয়র প্রধান শিক্ষক হল সুপার ও সিনিয়র প্রধান শিক্ষককে সহকারী হল সুপারের দায়িত্ব দেয়াসহ একই শিক্ষককে হল সুপার, সহকারী হল সুপার, কক্ষ পরিদর্শক ও পরীক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষকরা। 

গত শুক্রবার সারাদেশের মতো কলারোয়া উপজেলার দুইটি কেন্দ্রে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায়

কলারোয়া সরকারী জি কে এম কে পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের হল সুপারের দায়িত্ব দেয়া হয় জুনিয়ার শিক্ষক উপজেলার হিজলদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিককে ও সহকারী হল সুপারের দায়িত্ব দেয়া হয় সিনিয়র শিক্ষিকা মুরারীকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিলকিছ খাতুনকে। অপরদিকে কলারোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে হল সুপারের দায়িত্ব দেয়া হয় ভাদিয়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবলুর রহমানকে ও সহকারী হল সুপারের দায়িত্ব দেওয়া হয় উপজেলার পশ্চিম বোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যায়ের প্রধান শিক্ষক আনছার আলীকে।

এছাড়া ওই দুই কেন্দ্রে কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব দেয়া হয় ধানদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিঠুন কুমার ভট্রাচার্য্য, বামনখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আশরাফুজ্জামান, কাকডাঙ্গা দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী মেহেদী হাসানকে। তাদেরই নিয়োগ দেয়া হয় পরীক্ষক হিসেবেও। এদিকে কলারোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অনুপ কুমার ঘোষের মেয়ে বৃত্তি পরীক্ষার্থী হলেও তাকে পরীক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে শিক্ষকরা অভিযোগ তুলেছেন। পরীক্ষায় হল সুপার, কক্ষ পরিদর্শক, পরীক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার মত উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৩৭ জন শিক্ষক মাস্টার ট্রেইনার রয়েছে। তাদেরকে দায়িত্ব দেয়া হয়নি। এ নিয়ে পরীক্ষার দায়িত্ব পালন না করতে পারা শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। 

 

জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এইচ এম রোকনুজ্জামান বলেন, উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারদের মাধ্যমে শিক্ষকদের নাম জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়। সেখান থেকে যেসব শিক্ষকদের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে, তাদেরকেই পরীক্ষকসহ পরীক্ষার অন্যান্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আমি শিক্ষকদের দায়িত্ব বণ্টনের বিষয়ে জানি না। 

জেলা শিক্ষা অফিসার হোসনে ইয়াসমিন করিমীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

বৃত্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, পরীক্ষায় দায়িত্ব বণ্টনের বিষয়ে আমি জানি না। তবে আমি পরীক্ষা পরিচালনা বিষয়ে জানি। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দায়িত্ব বণ্টনের বিষয়ে অনিয়ম হলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
সরকারি চাকরি থেকে ২০ শিক্ষককে অব্যাহতি - dainik shiksha সরকারি চাকরি থেকে ২০ শিক্ষককে অব্যাহতি ইউজিসি চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্বে বহাল থাকছেন অধ্যাপক আলমগীর - dainik shiksha ইউজিসি চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্বে বহাল থাকছেন অধ্যাপক আলমগীর চার তারিখের মধ্যে মাদরাসা শিক্ষকদের এমপিওর আবেদন - dainik shiksha চার তারিখের মধ্যে মাদরাসা শিক্ষকদের এমপিওর আবেদন ত্রাণ দিতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা, আহত ১২ চবি শিক্ষার্থী - dainik shiksha ত্রাণ দিতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা, আহত ১২ চবি শিক্ষার্থী ব্যাংকের অনিয়ম তদন্তে কমিশন গঠন হচ্ছে - dainik shiksha ব্যাংকের অনিয়ম তদন্তে কমিশন গঠন হচ্ছে শীট মেশিন সম্বলিত প্রতিষ্ঠানের জন্য পুনরায় দরপত্র দাবি - dainik shiksha শীট মেশিন সম্বলিত প্রতিষ্ঠানের জন্য পুনরায় দরপত্র দাবি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0023350715637207