কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ক্যাম্পাসে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষক-শিক্ষার্থী। এছাড়া পানি জমার কারণে ক্যাম্পাসে মশার উপদ্রব বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, ক্যাম্পাসে যে ড্রেনগুলো আছে সেগুলোর অবস্থা বেহাল। এ কারণে বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে চলাচলে বিড়ম্বনায় পড়েন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ কলা ভবন ও মমতাজ উদ্দীন কলা ভবনের সামনে, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছনে, পরিবহন মার্কেটের সামনে, টুকিটাকি চত্বর, পরিবহন এলাকা ও চারটি বিজ্ঞান ভবনের সামনে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া কাজী নজরুল অডিটোরিয়ামের উত্তর পাশ থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবন পর্যন্ত রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে আছে। এতে একাডেমিক ভবনগুলোতে ঢুকতে বিপাকে পড়ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কেউবা ঢুকছেন পানিতে ভিজে আবার অনেকে রিকশা করে গেট পর্যন্ত যাচ্ছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী নূর আহসান মৃদুল বলেন, রাস্তায় পানি জমার ফলে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। সকালে ক্যাম্পাসে এসে দেখি রাস্তায় পানি জমে গেছে। বাধ্য হয়েই পানি ভেঙে ক্লাসে যেতে হচ্ছে। প্রায়ই দেখতে পাই একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। আমরা চাই দ্রুত এর স্থায়ী সমাধান হোক।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, জলাবদ্ধতার বিষয়ে আমরা অবগত আছি। আমরা জানার সঙ্গে সঙ্গে পানি নিষ্কাশনের জন্য জানিয়েছি। দ্রুতই পানি বের হয়ে যাবে আশা করি। সবাইকে একটু ধৈর্য ধরার অনুরোধ করছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম হুমায়ুন কবীর বলেন, জলাবদ্ধতার সমস্যা সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ভবন নির্মাণাধীন রয়েছে। সেগুলোর কাজ শেষ হলে আমরা এগুলো নিয়ে কাজ করবো। রাস্তাঘাট ও ড্রেনের কাজ হলে এ সমস্যা আর থাকবে না।