ভারী বর্ষণ ও ভারতীয় বাঁধ খুলে দেয়ায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। ভয়াবহ অবস্থায় রয়েছে ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুরসহ দেশের ১২টি জেলা। ফেনীর সবগুলো উপজেলাই প্লাবিত হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। ফেনীর বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
শনিবার (২৪ আগষ্ট) রাজধানীর আগারগাও আবহাওয়া ভবন থেকে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, আজ খুলনা, বরিশাল, ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এছাড়া দেশের অন্যান্য বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং কিছু জায়গায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, আগের তুলনায় বৃষ্টিপাত এর মাত্রা কমেছে। এ অবস্থায় ২৭ তারিখের পর আরও কমবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। গত ১৬ থেকে ২২ তারিখ সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে সীতাকুণ্ডে ৭৫৬ মি.মি, এছাড়া নোয়াখালির মাইজদী তে ৬০৫ মি.মি এবং কুমিল্লাতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ রেকর্ড করা হয় ৫৫৭ মিলিমিটার। শ্রেণীর বৃষ্টি পরিমাপক যন্ত্র পানির নিচে ডুবে থাকায় গত দুদিনের রেকর্ড পাওয়া যায়নি। তার আগ পর্যন্ত ৪৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের মাত্রা রেকর্ড করা হয় ফেনীতে।
আবহাওয়াবিদ বলেন, ভারী বৃষ্টি, উজান থেকে নেমে আসা পানি ও সমুদ্রের জোয়ারের পানি অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশি থাকায় মূলত এ তিন কারণে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। টানা ভারী বৃষ্টির সময় সমুদ্রে লঘুচাপ ছিল। পূর্ণিমা থাকায় স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে সমুদ্রের দুই থেকে তিন ফুট বেশি উচ্চতায় পানি ছিল। জোয়ারের উচ্চতা বেশি থাকায় সামগ্রিক এ তিন কারণে বন্যা সৃষ্টি হয় ।
তবে এ আবহাওয়াবিদ পরিস্থিতির উন্নতির দিকে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করে বলেন, বৃষ্টিপাত কমে আসার কারণে পানিও সরতে শুরু করেছে। আগামী তিন দিনে আরও কমবে। আজ থেকে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হলেও ২৬ তারিখ কোথাও ভারী বর্ষণ হয়ে ২৭ তারিখ থেকে কমবে বৃষ্টিপাত। বন্যা পরিস্থিতিও উন্নতির দিকে যাবে বলে জানান তিনি।