প্রাথমিক শিক্ষা সকল শিক্ষার ভিত। পরবর্তী শিক্ষা জীবনের বন্ধুর পথ মসৃণ করতে ভিতকে শক্তিশালী করা অত্যাবশ্যক। তাই, প্রাথমিক শিক্ষাকে অবহেলা করা মানে উন্নত জীবন ও সমৃদ্ধ জাতি গড়াকে চ্যালেঞ্জ করা। মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আর শিক্ষকদের সর্বোচ্চ আন্তরিকতা, মেধা ও শ্রমের প্রাপ্য মর্যাদা নিশ্চিত না হলে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য পূরণ এক কথায় কঠিন। বুধবার (৪ মার্চ) সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত এক মতামতে এ তথ্য জানা যায়।
মতামতে আরও জানা যায়,বর্তমানে দেশের প্রায় ৬৬ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় চার লাখেরও বেশি শিক্ষক বেতন বৈষম্যের শিকার। উক্ত বৈষম্য থেকে মুক্তি পেতে শিক্ষকগণ ২০১৪ সাল থেকে প্রধান শিক্ষকদের ১০ম এবং সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন-ভাতার দাবি জানিয়ে আসছেন। সর্বশেষ ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে উক্ত বৈষম্য যথাযথভাবে নিরসনের লিখিত প্রতিশ্রুতি দেয়।
এছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তার রেকর্ডেড অডিও কলের মাধ্যমেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মর্যাদা ও বেতন বৈষম্য নিরসনের ওয়াদা দেন। কিন্তু উন্নীত গ্রেডে বেতন নির্ধারণের প্রচলিত বিধি অনুযায়ী এতে সিংভাগ শিক্ষকের বেতন বরং কমবে। এমতাবস্থায় ইতিবাচক মানসিকতা বজায় রেখে মানসম্মত শিক্ষা প্রদান প্রশ্নসাপেক্ষ।
তাই ‘মুজিববর্ষ’কে উপলক্ষ করে দেশ ও জাতিকে উন্নতি ও সমৃদ্ধির সোপানে উন্নীত করতে প্রধান শিক্ষকদের ১০ম এবং সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন-ভাতার ঘোষণা দিয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিদ্যমান বেতন বৈষম্য নিরসন করে নির্বাচনী ইশতেহারে লিখিত ও অডিও কলে দেয়া প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হোক।
লেখক: আবু ফারুক,সহকারী শিক্ষক,ভাগ্যকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সদর, বান্দরবান।