বরগুনার বেতাগী উপজেলায় শিক্ষকের বেত্রাঘাতে এক মাদারাসা ছাত্র আহত হয়েছে। গতকাল সোমবার (১৪ জুন) উপজেলার দাওয়াতুল হক হেফজুল কুরআন কওমি মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে মারধরে অভিযুক্ত শিক্ষক মো. তানভির আহমেদ পলাতক রয়েছেন। তাকে মাদরাসা থেকে বহিস্কার করা হয়েছে বলে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে নিশ্চিত করেছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, আহত ছাত্রের নাম গাজী সরাফত উল্লাহ (১০)। বেতাগী পৌরশহরের ৮নং ওয়ার্ডে এলাকায় ঘটা এ ঘটনায় সরাফত উল্লাহর বাবা বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
আহত ছাত্রের বাবা গাজী হুমায়ুন কবীর দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমার ছেলে গাজী সরাফত উল্লাহ দাওয়াতুল হক হেফজুল কুরআন কওমি মাদরাসার হেফজ বিভাগে লেখাপড়া করে। সোমবার (১৪ জুন) বিকালে পড়া না পারার অভিযোগে মাদরাসার শিক্ষক মো. তানভির আহমেদ আমার ছেলেকে বেত্রাঘাত করে আহত করে। শুরুতে বিষয়টি আমরা জানতাম না। ছেলে বাড়িতে ফেরার পর মঙ্গলবার কাপড় পরানোর সময় পিঠে বেত্রাঘাতের দাগ দেখে তার মা বিষয়টি বুঝতে পারে। এরপর সরাফাতকে জিজ্ঞাসা করার পর জানতে পারলাম পড়া না পারার কারণে শিক্ষক তানভির আহমেদ আগের দিন তাকে বেত্রাঘাত করেছে। শুধু তাই নয়, মারধরের বিষয়ে বাড়িতে কাউকে না বলার জন্য সরাফতকে নিষেধ করেছে। ফলে ছেলেও বিষয়টি আমাদেরকে জানায়নি।
তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আরও বলেন, ওই শিক্ষকের বেত্রাঘাতে আমার ছেলের পুরো পিঠে দাগ বসে গেছে। পরে ছেলেকে বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। এরপর বিষয়টি আমরা ইউএনও মহোদয়কে জানাই।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন
দাওয়াতুল হক হেফজুল কুরআন কওমি মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত মোহতামিম মো. মেজবাহ উদ্দিন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, এটা অনৈতিক কাজ। এ ঘটনার পরে ঐ শিক্ষক পালিয়ে গেছে। তাকে মাদরাসা থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুহৃদ সালেহীন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বেত্রাঘাত করে মাদরাসা ছাত্রকে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে পাওয়া না গেলেও মাদরাসার অন্যান্য শিক্ষকদের ডেকে অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পলাতক শিক্ষক তানভিরের সন্ধান চলছে। মাদরাসার কতৃপক্ষ ইতিমধ্যে তাকে বহিষ্কার করেছেন।