মানুষের জীবনে একটা সময় অবসর নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। চাকরিজীবীদের বেলায়ই কথাটা অধিক প্রযোজ্য। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা ৬০ বছর বয়সে অবসরে যান। তখন অনেকেই বেশ কর্মক্ষম থাকেন। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিপত্র জারি করেছে যে, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চুক্তিভিত্তিতে নিয়োগ করা যাবে না। এ পরিপত্রের কারণে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষককে নিয়োগ বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া যাবে না—তিনি যতই দক্ষ বা উদ্যমী হোন না কেন।
ধরে নিলাম, তাঁরা শিক্ষকতা করতে পারবেন না; কিন্তু করবেন কী? খাবেন কী? চিকিত্সা খরচ মেটাবেন কীভাবে? তাঁদের প্রাপ্য শিক্ষক কল্যাণভাতা ও অবসর সুবিধার টাকাও তো ৩/৪ বছরের আগে পাবার সম্ভাবনা নেই। আর যাঁরা বর্তমানে চাকরিতে আছেন, তাঁরা এখন ভবিষ্যতের চিন্তা করার প্রয়োজন আছে বলে মনেই করেন না।
প্রশ্ন হচ্ছে: যারা এখন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক তাদের কি সুস্থভাবে বেঁচে থাকার অধিকার নেই? সমাজ বিনির্মাণে তাদের কোনো ভূমিকা নেই? অভিজ্ঞ শিক্ষকবৃন্দ যদি তাঁদের অভিজ্ঞতার ডালি থেকে পরিণত বয়সেও শিক্ষার্থীদের কিছু দিতে পারেন, তাতে তো সরকারের বাধ সাধবার কথা নয়। অবশ্য যাঁরা অবসরের পর কাজ করার যোগ্যতা রাখেন না তাঁদের কথা ভিন্ন। আশা করি, সরকার জারিকৃত ঐ পরিপত্র রহিত করে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের কাজ করার সুযোগকে প্রশস্ত করবেন।