ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের হাট-পরমেশ্বরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ধুলজোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও কতিপয় অর্থলোভী শিক্ষক সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে শ্রেণিকক্ষেই কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার (১৪ মে) উপজেলার হাট-পরমেশ্বরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে কোচিং ক্লাস করাতে দেখা গেছে কয়েকজন শিক্ষককে।
জানা গেছে, সকাল ৯টা হতে স্কুলের দুটি শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের কোচিং করাচ্ছেন শিক্ষকরা। হাট-পরমেশ্বরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হরেন্দ্রনাথ সরকার ও সহকারী শিক্ষক চন্দ্রা রানী কোচিং বাণিজ্যের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, স্কুলেই ৫ম শ্রেণির ২০-২৫ জন শিক্ষার্থীর কোচিং করাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক। আর ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কোচিং ক্লাস নিচ্ছেন সহকারী শিক্ষক চন্দ্রা রানী।
অপরদিকে ধুলজোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অসিত দাস শ্রেণি কক্ষেই প্রায় ৫ মাস যাবৎ ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কোচিং করাচ্ছেন বলেও অভিযোগে উঠেছে। সকাল ৮টা হতে ৯টা ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির প্রায় ৩০জন এবং ৯টা হতে ১০টা ৫ম শ্রেণির ২৫ জন শিক্ষার্থীদের কোচিং করান তিনি। প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোচিং ফি বাবদ মাসে দুই শত টাকা করে নেয়া হয় বলে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন।
তবে হাট-পরমেশ্বরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হরেন্দ্রনাথ সরকার অভিযোগ অস্বীকার করে দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, পরীক্ষায় ভালো ফলের আশায় অতিরিক্ত ক্লাস নিচ্ছি। তবে, এজন্য কোনো টাকা নেয়া হয় না।
ধুলজোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অসিত দাসও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। টাকা ছাড়াই স্কুলের শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ক্লাস করান বলে দাবি করেছেন এ শিক্ষক।
বোয়ালমারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নার্গিস জাফরী বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালায়ের নির্দেশ অনুযায়ী কোন প্রকার কোচিং করানো যাবে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখে জড়িত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।