ব্যতিক্রম এক দেশ: করোনায় স্কুল-অফিস চলছে আগের মতোই

নিজস্ব প্রতিবেদক |

করোনা মহামারিতে আক্রান্ত আর মৃত্যুর মিছিল দেখে বিশ্বনেতারা যখন আতঙ্কগ্রস্ত, তখন এমন এক দেশ আছে যাদের সরকার চিন্তিত নয় বরং সত্য লুকাতেই ব্যস্ত। স্কুল-কলেজ, ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছু চলছে আগের মতোই। শুধু রোগীতে ঠাসা হাসপাতালগুলো। মৃত্যু হলেই কবর হয় অজানা কোথাও, জানেনা স্বজনরা। মধ্যআমেরিকার দেশটি নিকারাগুয়া। 

রাজনীতিবিদ ও মানবধিকার কর্মীরা অভিযোগ করছেন, ৬৫  লাখ মানুষের এ দেশটিতে সামাজিক দূরত্ব কার্যকর হয়নি, স্কুল-কলেজে আগের মতোই যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা, স্বাভাবিক গতিতে চলছে ব্যবসা-বাণিজ্য, সরকারি অফিসগুলো খোলা, এমনকি ফুটবল লিগসহ কয়েকটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতাও হয়েছে মে মাসে। যা দেখতে দর্শকরাও জড়ো হন। এছাড়া অন্যান্য জনসমাগমও হচ্ছে। এতে সরকারের কোনা বিধিনিষেধ বা লকডাউন ব্যবস্থা নেই। মাস্ক পরাসহ যতটুকু সচেতনতা আছে তা জনগণের নিজের থেকেই।

নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট ডানিয়েল ওর্তেগা এতোদিন করোনায় আক্রান্ত মাত্র ২৫ জন বললেও গত সপ্তাহে প্রথম দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে আক্রান্ত ২৫৪ জন এবং মারা গেছে ১৭ জন। যা তাদের পূর্বের ঘোষণার চেয়ে ১০ গুণ বেশি। মানবধিকার সংগঠনগুলো বলছে প্রকৃত আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা আরো অনেক বেশি।  বেসরকারি সংস্থা সিটিজেন অবজারভেটরি জানায়, ১৬ মে পর্যন্ত করোনায় মারা গেছে ৩৬৬  জন। আর আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৫৬৯ জন।[inside-ad[

দেশটিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এবং বিরোধীরা অভিযোগ করছে করোনার সঠিক তথ্য গোপন করতে সরকার লাশ দ্রুত কবরস্থ করে ফেলছে।  কেউ মারা গেলে সরকার মিথ্যা বলছে এবং স্বজনদের ভুল তথ্য দিয়ে মৃত্যুর সার্টিফিকেট দিচ্ছে। সিভিক অ্যালায়েন্স ফর জাস্টিজ অ্যান্ড ডেমোক্রেসির নেতা জুয়ান সেবাসটিয়ান চামোরো বলেন, ‘করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ডানিয়েল ওর্তেগার কৌশল হচ্ছে কিছুই করোনা, এমন ভাব কর যেনো সবই স্বাভাবিক চলছে। আর এভাবেই বিপদ ডেকে এনেছে।’ 

দেশটির মহামারি বিশেষজ্ঞ আলভারো রামিরেজ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমরা এখন কমিউনিটি সংক্রমণের অবস্থায় চলে গেছি। কারণ দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং পরিস্থিতি নৈরাজ্যকর হতে চলেছে।’ অন্যান্য লাতিন আমেরিকান দেশগুলো করোনা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মানুষের চলাচলে কড়াকড়ি আরোপের পাশাপাশি বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কিন্তু নিকারাগুয়ায় তেমন কোন পদক্ষেপ বা পরিকল্পনা নেয়া হয়নি ।

হাসপাতাল কর্মীরা বলছেন, শ্বাস-প্রশ্বাসের রোগ নিয়ে হাসপাতালগুলো রোগীতে ভরে গেছে। এতে যারা মারা যাচ্ছে তাদের লাশ স্বজনদের সম্মতি ছাড়াই পিক-আপে করে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কবর দেয়ার জন্য। সাদা পোশাকের পুলিশ হাসপাতালের গেটে দাঁড়িয়ে থাকে যাতে কোন সাংবাদিক বা ফটোগ্রাফার হাসপাতালে ঢুকতে না পারে এবং রোগীর স্বজনরা কথা বলতে না পারে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটে প্রথম লামিয়া - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটে প্রথম লামিয়া প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াবে কাল - dainik shiksha ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াবে কাল চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন - dainik shiksha চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0025579929351807