জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ব্রুনাইয়ের বাংলাদেশ হাইকমিশনে এক অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়েছে।
রোববার (১৭ মার্চ) অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও বিশেষ দোয়া করা হয়।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু, তার পরিবার ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা। হাইকমিশনের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী, বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্য ও শিশুরা এ সময় অংশ নেন।
দিবসটি উপলক্ষে বাণী পাঠ করে শোনান বাংলাদেশ হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা ও প্রথম সচিব (শ্রম) আবু বক্কর সিদ্দিকী। পরে শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অগাধ ভালবাসা ও স্নেহের সাক্ষ্য বহনকারী এবং বাংলাদেশে শিশুদের উন্নয়ন ও বিকাশের জন্য বঙ্গবন্ধুর অসীম অবদানের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়। শিশুদের সঙ্গে নিয়ে গ্রাফিক নভেল মুজিব পাঠ করে শোনান বাংলাদেশ হাইকমিশনার।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন, স্বাধীন দেশ গঠনে তার ভূমিকা ও শিশু কিশোরদের প্রতি তার অসাধারণ মমত্ববোধ আর অগাধ ভালবাসার কথা তুলে ধরে বাংলাদেশ হাইকমিশনার তার বক্তব্যে বলেন, গভীর দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্ব, অসামান্য আত্মত্যাগ ও জনগণের প্রতি অসাধারণ মমত্ববোধের কারণে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত হন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালির পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙার চূড়ান্ত প্রেরণা এবং বঙ্গবন্ধু কেবল সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালিই নন, তিনি ছিলেন বাঙালির মু্ক্তির দূত এবং রাজনীতির এক মহাকবি।
পরে জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ উপলক্ষে শিশুদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন বাংলাদেশ হাইকমিশনার।