কিশোরগঞ্জের ইটনায় পূর্ব শত্রুতার জেরে বড়িবাড়ী উচ্চবিদ্যালয় ভাঙচুর ও বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতার নাম মুছে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ছাত্র জনতার আন্দোলনে বিজয়ের ফলে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ও প্রাশাসনিক স্থবিরতার সুযোগে একটি সমাজ বিরোধী চক্র, দুস্কৃতিকারী ও লুটেরার দল এঘটনা ঘটিয়েছে।
জানা যায় যে, কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনায় বড়িবাড়ী উচ্চবিদ্যালয়ে গত রোববার (২৫ আগস্ট) সকাল ১১টায় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত সহ-শিক্ষিকা ছামিয়া আক্তারের নেতৃত্বে একদল বখাটে দুর্বৃত্ত হামলা করে ভাঙচুর চালায় ঐতিহ্যবাহী এই স্কুলটিতে। এছাড়া তারা স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা দানবীর মরহুম কামধর বেপারি’র নাম মুছে ফেলে ও প্রধান শিক্ষক মো.মহিউদ্দিনের পদত্যাগ দাবি করে।
স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক মো. মহিউদ্দিন জানান, স্কুলের অর্থ আত্মসাৎ এবং দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত অত্র বিদ্যালয়ের সহ.শিক্ষিকা ছামিয়া আক্তারের নেতৃত্বে কিছু বখাটে উশৃংঙ্খল যুবক স্কুলটিতে এ তাণ্ডব চালায়।
তিনি বলেন, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে স্কুলটির সহকারী শিক্ষিকা ছামিয়া আক্তার ৭ম শ্রেণির শিক্ষক থাকাকালীন অবস্থায় ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে সেশন ফি, বেতন ও অন্যান্য পরীক্ষার ফি গ্রহণ করে তা বিদ্যালয় তহবিলে জমা না দিয়ে নানা চলচাতুরী করে আত্মসাৎ করেন। এতে অর্থ আত্মসাৎ তদন্ত কমিটি গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন যে, সহকারী শিক্ষিকা ছামিয়া আক্তার এক বৎসরে ১৮,৫৬০/- (আঠার হাজার পাঁচশত ষাঠ) টাকা বিদ্যালয়ের তহবিলে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। এ কারণে স্কুলটির ব্যাবস্থাপনা কমিটি সহকারী শিক্ষিকা ছামিয়া আক্তারকে স্কুলের অর্থ আত্মসাৎ এর দায়ে বিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত বেতন সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেন। সহকারী শিক্ষিকা ছামিয়া আক্তার ২১ মার্চ ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে লেখা দরখস্তে তার ১৮,৫৬০/- (আঠার হাজার পাঁচশত ষাঠ) টাকা আত্মসাৎ করার বিষয়টি স্বীকার করে গত ২২মার্চ ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির নিকট উক্ত টাকা জমা দেন, যা বিদ্যালয়ের সাধারণ তহবিল, ইটনা জনতা ব্যাংকে জমা দেয়া হয়।
উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিহিংসার কারণে বিদ্যালয়টির অভিযুক্ত সহ-শিক্ষিকা ছামিয়া আক্তার ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে উক্ত ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটায় এবং এলাকায় প্রথম শিক্ষার আলো ছড়ানো এই স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ও তার সৎ আর নিষ্ঠাবান প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এখনো গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক মো.মহিউদ্দিন ও অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।