ভর্তি পরীক্ষায় পরিবর্তন ঢাবির, থাকবে এমসিকিউ ও লিখিত পদ্ধতি

ঢাবি প্রতিনিধি |

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের কাঠামোতে পরিবর্তন এনেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এবারের প্রশ্নপত্রে কাঠামোগত ও প্রশ্নের নম্বরগত দুটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। এ বছর থেকে ভর্তি পরীক্ষায় লিখিত নম্বর থাকবে ৪০ শতাংশ এবং মাল্টিপল চয়েস প্রশ্নোত্তর (এমসিকিউ বা বহু নির্বাচনী) থাকবে ৬০ শতাংশ। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী। কোন পদ্ধতিতে কত নম্বর থাকবে তা নিশ্চিত না করলেও এই পরিবর্তনকে মৌলিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার এনামউজ্জামান।

প্রতি বছর সাধারণত অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য মোট ২০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হতো। এর মধ্যে ১২০ নম্বর থাকত এমসিকিউ পরীক্ষায় এবং ৮০ নম্বর থাকতো এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার গ্রেড পয়েন্টের (জিপিএ) ভিত্তিতে। এ বছর থেকে এমসিকিউ প্রশ্নের সঙ্গে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী বলেন, ‘এ বছর ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে কাঠামোগত ও নম্বরগত পরিবর্তন দুটোই আসছে। কাঠামোগত পরিবর্তন হলো এমসিকিউ ও লিখিত দুটোই থাকবে। নম্বরগত পরিবর্তনে ৬০ শতাংশ থাকবে এমসিকিউ এবং ৪০ শতাংশ থাকবে লিখিত। আমরা যতদূর অগ্রসর হয়েছি ততটুকু প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যাবে ৷ আর কিছু প্রশ্নের উত্তরের জন্য এখনও অপেক্ষা করতে হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার এনামুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের একাডেমিক কাউন্সিল একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ভর্তি পরীক্ষাতে এমসিকিউ প্রশ্নের পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে, লিখিত কত নম্বর থাকবে, এমসিকিউ কত নম্বর থাকবে এটা আমাদের জেনারেল অ্যাডমিশন কমিটি নির্ধারণ করবেন। এক্ষেত্রে লিখিত ৪০ নম্বর হতে পারে আবার ৬০ নম্বরও হতে পারে। মৌলিক এতটুকু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এছাড়া পরীক্ষা ব্যবস্থাপনার বিষয়ে কিছু কিছু পরিবর্তন আমরা আনতে চাই। কিছু নিয়ম-কানুন সংস্কার করতে চাই। গত বার যে ভুলগুলো হয়েছে সেগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে কীভাবে পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে ভালোভাবে নিতে পারি সেই পরিকল্পনা করছি৷

লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নের ধরন (এক কথায় উত্তর, নাকি বিস্তারিত উত্তর) কেমন হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে এনামুজ্জামান বলেন, ‘লিখিত অংশের প্রশ্নের ধরন কেমন হবে তা জেনারেল অ্যাডমিশন কমিটির সভায় নির্ধারণ করা হবে। এ সভাটি ঈদের পরপরই অনুষ্ঠিত হবে, তখন জানা যাবে।’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0023798942565918