দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নতুন করে ১৭ লাখ ৩৩ হাজার বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করেছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এই তিন খাতে সরকারের ব্যয় বাড়বে ১৩১৫ কোটি ৯ লাখ টাকা। আজ মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় ‘সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র ৩০তম সভায় এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব উপস্থাপনের কথা রয়েছে। কমিটির সায় মিললে আগামী বাজেট প্রস্তাবে এর প্রতিফলন দেখা যাবে।
দেশে বর্তমানে বয়স্ক ভাতা সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৫৮ লাখ এক হাজার। এই সংখ্যা বাড়িয়ে ৬৫ লাখ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এখন জনপ্রতি ৬০০ টাকা হারে বয়স্কভাতা দিচ্ছে সরকার। ভাতার পরিমাণ অপরিবর্তিত রেখে নতুন করে আরও ৬ লাখ ৯৯ হাজার বয়স্ক ব্যক্তিকে এ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। এজন্য সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় হবে ৫০৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
দেশে বর্তমানে ২৫ লাখ ৭৫ হাজার বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা সুবিধাভোগী সরকারি কোষাগার থেকে মাসে ৫৫০ টাকা হারে ভাতা পাচ্ছেন।
আগামী অর্থবছরে ভাতার পরিমাণ অপরিবর্তিত রেখে সুবিধাভোগীর সংখ্যা আরও ৭ লাখ বাড়িয়ে ৩২ লাখ ৭৫ হাজার করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকারের ব্যয় বাড়বে ৪৬৫ কোটি ২৩ লাখ টাকা।
দেশে বর্তমানে ২৯ লাখ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সরকারি ভাতা পাচ্ছেন। মাসে ৮৫০ টাকা হারে ভাতা দিতে সরকারের বাজেট বরাদ্দ রয়েছে ২৯৭৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা। ভাতার পরিমাণ অপরিবর্তিত রেখে এ খাতে সুবিধাভোগীর সংখ্যা আরও ৩ লাখ ৩৪ হাজার বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এটি কার্যকর হলে সারা দেশের ৩২ লাখ ৩৪ হাজার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে ভাতা দিতে সরকারের বছরে ব্যয় হবে ৩৩২১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ সরকারের ব্যয় বাড়বে আরও ৩৪৩ কোটি ৬ লাখ টাকা।
১ লাখ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী বর্তমানে প্রতি মাসে উপবৃত্তি পায়। এর মধ্যে প্রাথমিক স্তরের ৬২ হাজার প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা মাসে ৯০০ টাকা করে, মাধ্যমিক স্তরে ২৬ হাজার শিক্ষার্থী ৯৫০ টাকা করে, উচ্চমাধ্যমিকে ৮ হাজার জন ৯৫০ টাকা করে এবং উচ্চতর পর্যায়ের ৪ হাজার শিক্ষার্থী মাসে ১ হাজার ৩০০ টাকা হারে বৃত্তি পায়। এতে সরকারের ব্যয় হয় ১১২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। আগামী অর্থবছরে ভাতার পরিমাণ বাড়িয়ে প্রাথমিকে ১১০০, মাধ্যমিকে ১২০০, উচ্চমাধ্যমিকে ১৩০০ এবং উচ্চতর পর্যায়ে ১৬০০ টাকা করার প্রস্তাব করেছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এতে সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় হবে ১৩৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।