ভারতের সঙ্গে পানি চুক্তির ন্যায্য হিস্যার দাবি রাবি শিক্ষার্থীদের

দৈনিক শিক্ষাডটকম, রাবি |

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও গজলডোবা বাঁধ খুলে দেওয়ার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে ‘রংপুর বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া ভারতের সঙ্গে পানি চুক্তির ন্যায্য হিস্যার দাবি জানিয়েছে তারা।’ 

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘উত্তরবঙ্গে বন্যা হলে বাংলাদেশ তুমি অন্ধ কেন’, ‘ত্রাণ নয় স্থায়ী সমাধান চাই’, ‘এক দফা এক দাবি, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন সময়ের দাবি’, ‘উত্তরবঙ্গ কী দেশের বাইরে?’, ‘বছর বছর ভাসতে চাই না, তিস্তার স্থায়ী সমাধান চাই’, ‘তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন চাই’, ‘উত্তরে কান্না, চুপ কেন বাংলা?’, ‘দিল্লি না তিস্তা, তিস্তা তিস্তা’, ‘তিস্তার কান্না, আর না আর না’ ইত্যাদি স্লোগান ও লেখা সংবলিত প্লাকার্ড প্রদর্শন করেন।

   

গণিত বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. আলমগীর বলেন, ‘খরার সময় আমরা পানি পাই না আবার বন্যার সময় হাজার হাজার একর জমি বন্যায় প্লাবিত হচ্ছে। যখনই বন্যা হয় তখনই শুধুমাত্র সাময়িক ত্রাণ দিয়ে আমাদের সান্ত্বনা দেওয়া হয়। জাতীয় বাজেটেও উত্তরবঙ্গকে অবহেলা করা হয়। আমরা এ ধরনের বৈষম্য চাই না। আমরা অতি দ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন চাই। আমরা ত্রাণ না, বাঁচতে চাই।’

আরবি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এম এ ইউসুফ আলী বলেন, আমরা ত্রাণ চাইতে রাস্তায় দাঁড়াইনি, আমরা এসেছি তিস্তা পাড়ের মানুষের অধিকারের জন্যে। আমরা আন্তর্জাতিক নদীর ন্যায্য অধিকার চাই। পাশাপাশি নদীগুলোর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা হোক। এ অঞ্চলের মানুষের যেন পুনরায় পানিতে ভাসতে না হয় এবং এভাবে প্লাকার্ড নিয়ে রাস্তায় না দাঁড়াতে হয়, সেটির নিশ্চয়তা দিতে হবে।

সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মেহেদী সজীব বলেন, ‘ভারত গজলডোবা বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণে তিস্তাসহ আশপাশের অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ওই অঞ্চলের মানুষেরা জীবনযাপনের যে ন্যূনতম অধিকার, সেটি ভোগ করতে পারছেন না। বাংলাদেশে একটা সিস্টেম চালু আছে, সবকিছু কেন্দ্রীভূত। কিন্তু বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য যদি উত্তরবঙ্গকে বাদ দিয়ে চিন্তা করেন তাহলে কোনো অবস্থাতেই উন্নয়নের শিখরে পৌঁছাতে পারবেন না।’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি - dainik shiksha শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি কারিগরি শিক্ষকদের অক্টোবর মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha কারিগরি শিক্ষকদের অক্টোবর মাসের এমপিওর চেক ছাড় সরকারি কর্মচারীদের ৯ দফা নির্দেশনা - dainik shiksha সরকারি কর্মচারীদের ৯ দফা নির্দেশনা স্কুল-কলেজে বেতন ছাড়া সব ফি বেঁধে দিলো সরকার - dainik shiksha স্কুল-কলেজে বেতন ছাড়া সব ফি বেঁধে দিলো সরকার সব শিক্ষকের স্বার্থ সংরক্ষণ করে বদলির নীতিমালা : সাক্ষাৎকারে শিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha সব শিক্ষকের স্বার্থ সংরক্ষণ করে বদলির নীতিমালা : সাক্ষাৎকারে শিক্ষা উপদেষ্টা ঢাবিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম - dainik shiksha ঢাবিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম ক্যামব্রিয়ানের বাশারকে গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত - dainik shiksha ক্যামব্রিয়ানের বাশারকে গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: অষ্টম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি - dainik shiksha শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: অষ্টম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা কল্যাণের হবে না: ছাত্রদল সম্পাদক - dainik shiksha ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা কল্যাণের হবে না: ছাত্রদল সম্পাদক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0023939609527588