ভারতে টিভি লাইভে সাবেক সংসদ সদস্যকে গুলি করে হত্যা

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

অপহরণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত ভারতের এক সাবেক সংসদ সদস্যকে তার ভাইসহ টিভিতে লাইভ চলাকালীন গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

রোববার বিবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হত্যা ও লাঞ্ছনার অভিযোগের মুখোমুখি হয়ে পুলিশ এসকর্টের অধীনে থাকা আতিক আহমেদকে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়। 

গুলি চালানোর পরে সাংবাদিক পরিচয় দেয়া তিনজন দ্রুত আত্মসমর্পণ করে এবং তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয় বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।

আহমেদের কিশোর ছেলে কয়েকদিন আগে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। পুলিশের কাছ থেকে তার নিজের জীবনের জন্য হুমকি ছিল বলে কয়েকদিন আগে দাবি করেছিলেন আহমেদ।

ভিডিওতে দেখা গেছে, আহমেদ এবং তার ভাই আশরাফকে গুলি করার কয়েক সেকেন্ড আগে কাছাকাছি একটি হাসপাতালে মেডিক্যাল চেকআপে যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছেন।

আতিক আহমেদের কিশোর ছেলে আসাদ এবং খুনের মামলায় ওয়ান্টেড আরেক ব্যক্তি এই সপ্তাহের শুরুতে পুলিশের হাতে নিহত হয়, যাকে শুট-আউট হিসাবে বর্ণনা করে পুলিশ। 

ফুটেজে দেখা যায়, আহমেদকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে যে তিনি তার ছেলের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিয়েছিলেন কিনা। ক্যামেরার সামনে শেষ কথা হল: ‘তারা আমাদের নেয়নি, তাই আমরা যাইনি।’

যে তিনজন সাংবাদিকের পরিচয় দিয়েছিলেন তারা গুলি চালানোর পরপরই আত্মসমর্পণ করেন বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। ঘটনাস্থলে একজন পুলিশ সদস্য ও একজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আহমেদ, যিনি একজন সাবেক সংসদ সদস্য এবং তার ভাই পুলিশ হেফাজতে ছিলেন। তাকে উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে নিয়ে আসা হয়েছিল, যেখানে আহমেদ হত্যা এবং হামলার অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছিলেন।

অপহরণে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তাকে ২০১৯ সালে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। গত মাসে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট তার আবেদনের শুনানি করতে অস্বীকার করে, যেখানে তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে পুলিশের কাছ থেকে তার জীবনের হুমকি রয়েছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন - dainik shiksha বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন তিস্তার পানিবণ্টন সমস্যার সমাধান হতেই হবে - dainik shiksha তিস্তার পানিবণ্টন সমস্যার সমাধান হতেই হবে ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর - dainik shiksha ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী - dainik shiksha একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী আবাসিক হোটেলে শিক্ষার্থীদের অভিযান, হামলা - dainik shiksha আবাসিক হোটেলে শিক্ষার্থীদের অভিযান, হামলা শিক্ষকের ছোড়া স্কেলের আঘাতে শিক্ষার্থীর চোখ হারানোর অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষকের ছোড়া স্কেলের আঘাতে শিক্ষার্থীর চোখ হারানোর অভিযোগ ছাত্রলীগের মতো কলুষিত রাজনীতি করবে না ছাত্রদল - dainik shiksha ছাত্রলীগের মতো কলুষিত রাজনীতি করবে না ছাত্রদল কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0030441284179688