ভারতে বছরে দেড় লাখ চাকরি কমছে

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

নরেন্দ্র মোদির আমলে ভারতের চাকরির বাজার কোন অবস্থায় গিয়ে ঠেকেছে তা ফুটে উঠেছে নতুন একটি জরিপে। দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক সন্তোষ মেহরোত্রা ও পাঞ্জাবের সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির অধ্যাপক যযাতি কে পরিদার তাদের জরিপে দাবি করেন, ২০১১-১২ থেকে ২০১৭-১৮, এই ৬ বছরে ভারতে চাকরির সংখ্যা কমেছে অন্তত ৯০ লাখ!

ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, স্বাধীন ভারতে এমন অবস্থা আর কখনো হয়নি। শুধু এ বছরের অক্টোবরে ভারতে বেকারত্বের হার বেড়ে পৌঁছেছে সাড়ে ৮ শতাংশে। সেপ্টেম্বরের চেয়ে ১.৩ শতাংশ বেশি।

জরিপের ফলাফল বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে আজিম প্রেমজি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সেন্টার অফ সাসটেনেব্‌ল এমপ্লয়মেন্ট’ বিভাগ।

সিএমআইই-র রিপোর্ট বলছে, ভারতে বেকারত্বের হার কতটা দ্রুত হারে বাড়ছে তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ, আগের মাস সেপ্টেম্বর (৭.২ শতাংশ) থেকে বেকারত্বের হার অক্টোবরে বেড়েছে ১.৩ শতাংশ। এটাও একটি রেকর্ড।

নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণের পরের দিনই ভারতের কর্মসংস্থানের বেহাল ছবি সামনে আনে পরিসংখ্যান মন্ত্রণালয়। সেই রিপোর্টে বলা হয়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৬.১ শতাংশ। ১৯৭৪ সালের পর দেশের কর্মসংস্থানের হাল কখনও এত খারাপ হয়নি।

নোটবন্দির পর থেকে গত তিন বছরে ভারতে যে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেকারত্বের হার বৃদ্ধি তার অনিবার্য পরিণতি। তীব্র অর্থনৈতিক মন্দার ফলে ভারতে দ্রুত পিছিয়ে পড়তে শুরু করেছে শিল্প ও পরিকাঠামো ক্ষেত্র দুটিও। গত বছরের সেপ্টেম্বরে পরিকাঠামো ক্ষেত্রের উৎপাদন যা ছিল, গত সেপ্টেম্বরে তা ৫.২ শতাংশ কমেছে। আর গত আগস্টে দেশটিতে শিল্পোৎপাদন যে গতিতে কমেছে, তা গত ৬ বছরে সর্বাধিক।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
সফটওয়্যারে কারিগরি ত্রুটি/ ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের তথ্য ইমেইলে আহ্বান - dainik shiksha সফটওয়্যারে কারিগরি ত্রুটি/ ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের তথ্য ইমেইলে আহ্বান শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বৈত নীতি! - dainik shiksha শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বৈত নীতি! হিটস্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু লিখিততে প্রক্সি দিয়ে পার, মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা - dainik shiksha লিখিততে প্রক্সি দিয়ে পার, মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে শিক্ষক কেনো বদলি চান - dainik shiksha শিক্ষক কেনো বদলি চান ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হতে পারে জুলাইয়ে - dainik shiksha ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হতে পারে জুলাইয়ে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.004514217376709