প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ভারতে পালানো প্রশান্ত কুমার হালদার (পিকে হালদার) গত শনিবার পশ্চিমবঙ্গে গ্রেফতার হয়েছেন। তবে ভারত এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে কিছু জানায়নি। তারা জানালেই তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সেমিনারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খান এ কথা বলেন। সেখানে ‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন : ইতিহাসের পুনর্নির্মাণ’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, পি কে হালদার বাংলাদেশের ওয়ান্টেড। বাংলাদেশ সরকার ইন্টারপোলের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। সে গ্রেফতার হয়েছে, তবে আমাদের কাছে এখনও (ভারত থেকে) অফিসিয়ালি কিছু আসেনি। আমাদের যা কাজ থাকে, তা হল আইনগতভাবে তাকে...।
এদিকে প্রশান্ত কুমার হালদার (পি কে হালদার) ও তার চার সহযোগীকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। পি কে হালদারের সহযোগীদের মধ্যে একজন নারী ছিলেন। তাকে ইডির হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
ইডি জানিয়েছে, পিকে হালদার নাম পাল্টে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রসঙ্গত, পিকে হালদারের বিরুদ্ধে প্রায় তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ রয়েছে। বেশ কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালনকালে এই অর্থপাচার করেছিলেন তিনি। তাকে গ্রেফতার করতে রেড অ্যালার্ট জারি করেছিল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল)।