ভারপ্রাপ্তদের দিয়ে চলছে চসিকের ৬৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি |

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) পরিচালিত কলেজ আছে ২০টি। এর মধ্যে ১৯টি কলেজ চলছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে। ঠিক একইভাবে ২৫টি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের  মধ্যে ১৫টি চলছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। এছাড়া ১৪টি বালক ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মধ্যে ৯টিই চলছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে।

এভাবে চসিকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং প্রধান শিক্ষক দিয়ে। ফলে এ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলছে শিক্ষক সংকট। সঙ্গে আছে অন্যান্য জনবল সংকটও। এ কারণে শিক্ষার্থীদের মানসম্পন্ন শিক্ষা ও পাঠদানে সমস্যা হয় বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।  

প্রসঙ্গত, জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী মাধ্যমিকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর  অনুপাত ১:৩০ করার কথা রয়েছে। চসিকের শিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে চসিকের স্কুল-কলেজের সংখ্যা ৬৭টি। এর মধ্যে কলেজ ২০টি, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ২৫টি, বালক উচ্চ বিদ্যালয় ৮টি, বালক-বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ১৪টি। এর মধ্যে কলেজগুলোতে আছে প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষার্থী এবং স্কুলগুলোতে আছে প্রায় ৪৫ হাজার।     

চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে স্কুলগুলোতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের একটি প্রক্রিয়া শুরু করেছি। ইতোমধ্যে জেলা শিক্ষা অফিস থেকেও এ ব্যাপারে অনুমোদনও নেওয়া হয়েছে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে শীঘ্রই প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টি নিয়ে জটিলতা আছে। তাই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’   

জানা যায়, কলেজ পর্যায়ে একজন সহকারী অধ্যাপককে অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়ে এবং স্কুল পর্যায়ে একজন সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিয়ে চলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। এমন অবস্থায় মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তবে স্কুলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে চসিক প্রক্রিয়া শুরু করলেও কলেজ পর্যায়ে এখনো শুরু হয়নি।   

অভিভাবকদের অভিযোগ, মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানে প্রয়োজনীয় শিক্ষক, শ্রেণি কক্ষ ও উপযুক্ত পরিবেশ পূর্বশর্ত। এসবের কোনো একটির কম হলে মানসম্পন্ন শিক্ষায় সংকট দেখা দেয়। বিশেষ করে শিক্ষার্থী অনুপাতে শিক্ষক না থাকলে পাঠদানে সমস্যা দেখা দেয়। তদুপরি প্রতিষ্ঠানের প্রধান যদি না থাকেন তাহলে পাঠদান ও প্রশাসনিক কাজে বিঘ্নতা দেখা যায়। ফলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠান প্রধানের পদ পূরণ করা জরুরি বলে আমরা মনে করি। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
কাল থেকে শিক্ষা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চলবে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় - dainik shiksha কাল থেকে শিক্ষা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চলবে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বাড়ানোর নির্দেশ রাষ্ট্রপতির - dainik shiksha বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বাড়ানোর নির্দেশ রাষ্ট্রপতির ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ - dainik shiksha ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ - dainik shiksha সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ - dainik shiksha নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিনিয়র আইনজীবীরা বিচার বিভাগের স্বার্থে কথা বলবেন, আশা প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha সিনিয়র আইনজীবীরা বিচার বিভাগের স্বার্থে কথা বলবেন, আশা প্রধান বিচারপতির দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0061509609222412