শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধানের দায়িত্ব ছয় মাস পর পর পরিবর্তন করতে হবে দাবি করে যে চিঠিটি ছড়িয়ে পড়েছে তা ভুয়া বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের প্যাডে জারি করা চিঠিটি চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। তখন ওই চিঠিটি সঠিক বলে বেশ কয়েকটি প্রচারমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করলে বিভ্রান্তি আরও ছড়ায়। তবে, গত ২০ ফেব্রুয়ারি দৈনিক আমাদের বার্তা ও দৈনিক শিক্ষাডটকমের পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে যোগাযোগ করা হলে কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন চিঠিটি ভুয়া। বিষয়টি নিয়ে গত ২০ ফেব্রুয়ারি দৈনিক শিক্ষাডটকমে ‘প্রতিষ্ঠান প্রধানের ভার নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্যাডে ভুয়া চিঠি!’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিলো। অবশেষে ওই চিঠিটি ভুয়া বলে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বিষয়টি জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : প্রতিষ্ঠান প্রধানের ভার নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্যাডে ভুয়া চিঠি!
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে জারিকৃত (স্মারক নম্বর- শিম/শা:১১/৩-৯/২০১১/২৫৬, তারিখ: ০৬/০৬/২০১১ এর স্থলাভিষিক্ত উল্লেখ করে) ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন বিষয়ে বিভাগের উপসচিব মো. মিজানুর রহমানের নাম ও স্বাক্ষর ব্যবহার করে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি জারিকৃত ভুয়া একটি পত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ওই স্মারকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনের বিষয়ে এ বিভাগ থেকে কোনো পত্র জারি করা হয়নি।
মন্ত্রণালয় আরও বলছে, এ ধরনের প্রতারক চক্র থেকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য এবং বর্ণিত ভুয়া পত্রের আলোকে কোনো কার্যক্রম গ্রহণ না করার জন্য অনুরোধ করা হলো। উল্লেখ্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও, ব্যক্তি এমপিও, পদোন্নতি, বিষয় খোলা, বিভাগ খোলা ও নাম পরিবর্তন ইত্যাদি সংক্রান্ত সব নির্দেশনা এ বিভাগের দাপ্তরিক ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
জানা গেছে, গত ২০ ফেব্রুয়ারি বেশ কয়েকটি প্রচারমাধ্যমে ওই ভুয়া চিঠিটি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর দৈনিক শিক্ষাডটকমের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিলো উপসচিব মো. মিজানুর রহমানের সঙ্গে। তিনি জানিয়েছিলেন, ওই প্রচার মাধ্যমগুলো তার সঙ্গে কথা না বলেই প্রতিবেদন করেছে।
যদিও ওই প্রতিবেদনগুলোর কোনো কোনোটিতে দাবি করা হয়েছিলো উপসচিব মো মিজানুর রহমান ওই চিঠির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।