ভুলের কুফল শিক্ষার্থীরাই ভোগেন

মাছুম বিল্লাহ |

এবার প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা নতুন শিক্ষাক্রমের এবং চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের শিক্ষাক্রম অনুসারে পাঠ্যপুস্তক পেয়েছেন। নতুন পাঠ্যপুস্তক মানেই যেনো ভুলভ্রান্তিতে ভরা। ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি থেকে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম বইয়ে প্রচুর ভুল ধরা পড়ে। ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ২২টি বইয়ে ৪২১টি ভুলভ্রান্তি বের হয়। ভুলগুলো পরে সংশোধন করে এনসিটিবির ওয়েবসাইটে দেয়া হয়। কিন্তু মূল পাঠ্যপুস্তকে তা আর দূর করা সম্ভব হয়নি। শিক্ষার্থীদের হাতে ভুলেভরা বই-ই ছিলো। যে অক্ষর ও বাক্যগুলো তাদের হৃদয়পটে সর্বদাই ভাসতে থাকে। এটি এক ধরনের ’ ইমেজারি’, একজন ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী উচ্চ শ্রেণিতে পড়বেন কিংবা কর্মজীবনে প্রবেশ করবেন, তার সামনে ভাসতে থাকবে ভুল শব্দ ও তথ্যগুলো।

পাঠ্যবইয়ের ভুল নিয়ে শিক্ষকরা সংশোধনী হয়তো পেয়েছেন কিন্তু সেটি কতজন কীভাবে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের মাঝে দিতে পেরেছেন সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। তবে, দুটো বিষয়ে এনসিটিবি-কে ধন্যবাদ দিতে হয়। একটি হচ্ছে- এবার সে তুলনায় অনেক কম ভুলভ্রান্তি পাওয়া গেছে। অবশ্য বইয়ের ভুল যারা দেখে সাধারণত বের করেন তাদের হাতে কিন্তু বই নেই, ওয়েবসাইট থেকে দেখে দেখে মন্তব্য করতে হয়। আমিও স্বাস্থ্য সুরক্ষা বইটি ওয়েবসাইটে দেখে নিশ্চিত হলাম কী ধরনের তথ্যাদি দেয়া হয়েছে। বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছায় এবং শিক্ষকরাও বিদ্যালয়ের বই নিয়ে সরাসরি পড়ার সুযোগ পান। সেই সুযোগ শিক্ষা নিয়ে অন্য যারা কাজ করেন তাদের খুব কম। তারা দেখলে ভুল হয়তো আরো বের হতো। দ্বিতীয় কারণটি হচ্ছে, এনসিটিবি বলেছে ভুলভ্রান্তি পেলে তাদের জানাতে। আমরা ভেবেছিলাম কারিকুলামের ক্ষেত্রে তারা যেমনটি বলেছেন, এ নিয়ে সমালোচনা করা যাবে না, মেনে নিতে হবে। বইয়ের ক্ষেত্রেও তাই বলে কি না। দেখলাম, তা বলেনি। এজন্য ধন্যবাদ।

কিন্তু, পাঠ্যবইয়ে ভুল কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। সেটা বাক্যগত হোক বা বানানগত হোক। কারণ, একজন শিক্ষার্থী পাঠ্যবইয়ের শব্দ ও বাক্যগঠন সারাজীবন অনুসরণ করেন। বারবার এসব ভুল হওয়ার কারণ, যারা বানান বা বাক্যগুলো লিখেছেন বা দেখেছেন তারা হয়তো যথাযথভাবে এগুলো দেখছেন না অথবা তাদের অভিজ্ঞতার ঘাটতি আছে।’ কিন্তু কুফল শিক্ষার্থীদেরকেই ভোগ করতে হয়। 

লেখক : মাছুম বিল্লাহ, ক্যাডেট কলেজের সাবেক শিক্ষক

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল  SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
স্মরণশক্তিকে মেধা বলার মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে - dainik shiksha স্মরণশক্তিকে মেধা বলার মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে প্রাথমিকের দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হতে পারে কাল - dainik shiksha প্রাথমিকের দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হতে পারে কাল চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান রেজাউল - dainik shiksha চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান রেজাউল বিদেশ নির্ভরতা কমাতে মানসম্মত উচ্চশিক্ষার তাগিদ ইউজিসির - dainik shiksha বিদেশ নির্ভরতা কমাতে মানসম্মত উচ্চশিক্ষার তাগিদ ইউজিসির এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে বদলি প্রত্যাশী শিক্ষকদের কষ্ট - dainik shiksha বদলি প্রত্যাশী শিক্ষকদের কষ্ট একাদশে ভর্তি আবেদন ২৬ মে থেকে ১১ জুন - dainik shiksha একাদশে ভর্তি আবেদন ২৬ মে থেকে ১১ জুন কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু ২৬ মে - dainik shiksha একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু ২৬ মে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0029637813568115