একটা মহান উদ্দেশ্যকে সামনে নিয়ে সরকার দেশের নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র তথা এনআইডি দিয়েছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, কার্ডগুলোতে ভুলের শেষ নেই। কারো নামের বানান ভুল, কারো বাবা-মায়ের নাম ভুল, কারো জন্ম তারিখ ভুল। এ যেন ভুলের মহাসমুদ্র! আইডি কার্ডে সংযুক্ত ছবির কোয়ালিটি সম্পর্কে নাইবা বললাম। তারপর শুরু পদে পদে বিড়ম্বনা। কখনো সার্টিফিকেটে কখনো অফিস-আদালতে। জমিজমা রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত কাজে দুর্ভোগের শেষ নেই। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, বেকায়দায় পড়ে দৌড়াদৌড়ি নির্বাচন কর্মকর্তার অফিসে নাম-ধাম সংশোধনের জন্য। সেখানে আরেক ভয়াবহ চিত্র। ফাইলের স্তূপ জমা হয়ে আছে। কিন্তু জরুরিভিত্তিতে কাজ হচ্ছে না। শর্তানুযায়ী শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ দাখিল করতে হয়, জমির কাগজ দাখিল করতে হয়, অজস্র কলাম পূরণ করে সোনালী ব্যাংকে গিয়ে নির্ধারিত ফি জমা দিতে হয়। অতঃপর পার হবে দিনের পর দিন—মাসের পর মাস। বিষয়টি যুতসই না হলে তদন্ত করার এখতিয়ার আছে অফিসের। কিন্তু খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ কেন বারবার অফিসে ধরনা দিতে যাবে? কেন তারা দিনের পর দিন হয়রান-পেরেশান হবে? সরকারের লোক ভুল করবে, আর তার খেসারত দেবে জনগণ? তাই আমাদের বিনীত অনুরোধ—কর্তব্য-কর্মে অবহেলা এবং গাফিলতির দায়ভার সাধারণ মানুষের ওপর না চাপিয়ে সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে আন্তরিকতার সঙ্গে। পরিশেষে, স্মার্ট কাড দেওয়ার আগেই সকল ভুল সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে আমরা আশা করি।
লেখক : রবিউল ফিরোজ, আত্রাই, নওগাঁ।