পাঠ্যপুস্তক শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ডেমরার কোনাপাড়া চৌদ্দগ্রাম টাওয়ার সংলগ্ন পুস্তক ছাপাখানা অনুপম প্রিন্টার্সের সামনে বেতন পরিশোধ না করে পুস্তক শ্রমিক ছাঁটাইয়ের বিরুদ্ধে এ বিক্ষোভ করেন।
সূত্র জানায়, পাঠ্যপুস্তক ছাপাখানা অনুপম প্রিন্টার্স নবম শ্রেণির ২ লক্ষাধিক বাংলা বই ছাপানো লেবার কাজের কন্ট্রাক পায় আব্দুল মোতালেব ও মানিক। তাদের তত্ত্বাবধানে প্রথম ধাপে দেড় লাখেরও বেশি পুস্তক ছাপানোর পরে বাংলা সাহিত্য বইয়ের ফর্মার মধ্যে ইসলাম শিক্ষা ফর্মায় বইয়ের মাঝখানে প্রায় ৩৬ পাতা বই ভুল বসত ছাপানো হয়ে যায় এ সময় বিয়ষটি ধরা পড়লে কাজ বন্ধ করে ওই কন্ট্রাক্টর আব্দুল মোতালেব ও মানিক তাদের নিয়োগকৃত শ্রমিকদের ১১ ডিসেম্বর আটকে রাখে। এ সময়ে আটকৃতদের মোতালেব, আরিফ, আনোয়ার, আল আমিন, তারেক, ফরিদসহ ১০ জনের কাছ থেকে ১৫০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের ওপর স্বীকারোক্তি মূলক জবান বন্দির স্বাক্ষর রেখে কর্মরত ৮০ জন শ্রমিককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয় ছাপাখানা কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে কন্ট্রাকটার আব্দুল মোতালেব ও মানিক সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের কাজের লোকেরা সবাই লেবার তারা লেখাপড়া জানে না কিন্তু মালিক পক্ষ থেকেও আরও সজাগ থাকা দরকার ছিল পুস্তকে ভুল ছাপানো বিষয়টি। আমি যতটুকু কাজ করিয়াছি সে হিসেবে ছাপাখানার নিকট পাওনা হয়েছে সাড়ে ৭ লাখ টাকা কিন্তু তারা আমাকে পরিশোধ করে সারে ৪ লাখ টাকা। বাকী টাকা পরিশোধ না করে আমাদের কাছ থেকে সই নিয়ে বের করে দেয় ছাপাখানার মালিক। তিনি আরও জানান এ বিষয়ে কোম্পানির ঠিকাদার মালিকের মালিকের পক্ষ যোগাযোগ করে বিষয়টি মীমাংসা করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন।
অনুপম প্রিন্টার্স মালিক আবুল কাসেম গণমাধ্যমকে বলেন, তারা আমার ব্যবসার সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য কারো প্ররোচনায় ইচ্ছে করে নবম শ্রেণির বাংলা সাহিত্য বইয়ের ভিতরে ইসলাম শিক্ষা বইয়ের ফরমেট লাগিয়ে ছাপানো শুরু করে। এ সময়ে আমাদের সুপারভাইজার চেক করার মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে তাদের দিয়ে বই ছাপানোর কাজটি আমি আর করাতে চাই না। আর তারা আমার প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মচারী না, তারা হলো কন্ট্রাকটারের শ্রমিক। তাদেরকে আমি চাকরি দেই নাই, বেরও করি নাই। টাকা পাওনার বিষয়টি আমি হিসাব করে দেখবো পাওনা টাকা দিয়ে দেব। এ ছাড়া তাদের সঙ্গে আমাদের লোকজন যোগাযোগ করছেন।