ভুল প্রশ্নপত্রে জেএসসি পরীক্ষা

কক্সবাজার প্রতিনিধি |

বুধবার (১৪ নভেম্বর) কক্সবাজারের টেকনাফে ভুল প্রশ্নে অনুষ্ঠিত হলো জেএসসি পরীক্ষা।  টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা পরীক্ষায় এ ঘটনা ঘটে। এতে টেকনাফ এজাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও শাহপরীরদ্বীপ হাজি বশির আহমদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩০ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

বুধবার পরীক্ষা শেষে এজাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা নিজ বিদ্যালয়ে এসে শিক্ষকদের কাছে বিষয়টি তুলে ধরেন। এসময় বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও একাডেমিক সুপারভাইজারকে বিষয়টি জানানো হয়।

বুধবার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে যে প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে সেই প্রশ্নপত্রে দেখা যায়, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা-২০১৮, ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা (সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনী অভীক্ষা) সেট-০১, নিচে লিখা রয়েছে ২০১৬ সালের সিলেবাস অনুযায়ী। পূর্ণমান ৬০+৪০। বিষয় কোড-১১১।

অপরদিকে যেটি ২০১৮ সালের নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের সঠিক প্রশ্নপত্র তাতে দেখা যায় সেটিও হুবহু একই রকম ছাপানো। সেই প্রশ্নটিতে নিচে ২০১৬ সালের সিলেবাস অনুযায়ী সেই লেখাটি নেই। তাছাড়া নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নের মান রচনামূলক ৭০ ও নৈর্ব্যক্তিক ৩০।  

একাধিক সূত্র দৈনিক শিক্ষাকে জানায়, এ প্রশ্নপত্রটি কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য। কিন্তু কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ ভুলে সেই প্রশ্নপত্রটি দিয়েই নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা গ্রহণ করেন। এতে উক্ত ৩০ পরীক্ষার্থী ঠিকমতো উত্তর লিখতে পারেনি। ফলে তাদের উক্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা দেওয়া পরীক্ষার্থী আসমাউল হুসনা, তানজিনা মনি, রাফিফা আক্তার, ফরিদা ইয়াছমিনের সাথে এজাহার বালিকা বিদ্যালয়ে সংবাদকর্মীদের সাথে কথা হয়। তারা জানায়, এজাহার বালিকা বিদ্যালয়ের ১৬ জন ও শাহপরীরদ্বীপ হাজি বশির আহমদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৪ জনসহ মোট ৩০জন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ৫ নম্বর কক্ষে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে আসছিল। বুধবার যথারীতি ইসলাম ও নৈতিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে তারা। পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ পর একপর্যায়ে প্রশ্ন কমন না পড়ায় তাদের সন্দেহ হয়। বিষয়টি ওই কক্ষের দায়িত্বরত শিক্ষককে জানালে তিনি তাৎক্ষণিক কোনও ব্যবস্থা নেননি। পরে পরীক্ষা শেষে ওই কেন্দ্রের শিক্ষকরা বিষয়টি স্কুলে অথবা বাড়িতে গিয়ে না বলার জন্য পরীক্ষার্থীদের শিখিয়ে দেন।

এজাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শিউলী রাণী চৌধুরী জানান, বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। ওই কেন্দ্রে এজাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯৫ জন পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে কেন্দ্র সচিব টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর হোসেনের মুঠোফোনে বারবার কল করা হলেও মোবাইল সংযোগ না দেওয়ায় বক্তব্য জানা যায়নি।

অপরদিক উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার নুরুল আবছার দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা গ্রহণ করলেও কোনও অসুবিধা হবে না। সেই ৩০ পরীক্ষার্থীর খাতা আলাদাভাবে প্যাকেট করা হয়েছে। তাদের আলাদাভাবে মূল্যায়ন করার জন্য বোর্ড কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হয়েছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ - dainik shiksha সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ - dainik shiksha নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন - dainik shiksha চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বেসরকারি শিক্ষকদের বদলির উদ্যোগ স্থগিতের নেপথ্যে - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষকদের বদলির উদ্যোগ স্থগিতের নেপথ্যে শিক্ষাখাতে অপপ্রচারে ভূয়া অভিভাবক ফোরাম, জাল সনদের অধ্যক্ষ - dainik shiksha শিক্ষাখাতে অপপ্রচারে ভূয়া অভিভাবক ফোরাম, জাল সনদের অধ্যক্ষ please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0025079250335693