ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

গত সোমবার শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনেই বিভ্রান্তিতে পড়তে হয়েছে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। একাধিক কেন্দ্রে ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা শুরু করার ঘটনা ঘটেছে। প্রথমে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা শুরু করা হলেও কিছুক্ষণ পর পরীক্ষার্থীদের ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। আবার কিছু কেন্দ্রে সময় বাড়িয়ে দেওয়া হলেও অনেক কেন্দ্রে সময় বাড়ানো হয়নি। কোথাও আবার পুরনো প্রশ্নেই পরীক্ষা শেষ করতে হয়েছে পরীক্ষার্থীদের। বিষয়টি রীতিমতো উদ্বেগের।  বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত এক সম্পাদকীয়তে এ তথ্য জানা যায়। 

সম্পাদকীয়তে আরও জানা যায়, প্রকাশিত খবরে দেখা যাচ্ছে, ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০৩ ও ২০৪ নম্বর কক্ষে সরবরাহ করা হয় ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের প্রশ্নপত্র। প্রায় ১৫ মিনিট পর প্রশ্ন পরিবর্তন করে দেন শিক্ষকরা।

বরিশালের একটি কেন্দ্রে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের বদলে তাদের ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। এতে অর্ধশতাধিক পরীক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে অভিভাবকরা জানিয়েছেন। গোবিন্দগঞ্জের একটি কেন্দ্রে বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষায় ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের সিলেবাসের একজন পরীক্ষার্থী থাকলেও ১৩৩ জন পরীক্ষার্থীকেই পুরনো প্রশ্ন সরবরাহ করা হয়। প্রায় ৩০ মিনিট পরীক্ষা চলার পর ভুল প্রশ্নপত্র সরবরাহের বিষয়টি নজরে আসে। এরপর নতুন করে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়। ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের একটি কেন্দ্রেও ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। লালমনিরহাটের বড়বাড়ী, দিনাজপুরের কাহারোল, নীলফামারী সদর, যশোরের চৌগাছা, টাঙ্গাইল সদরসহ বিভিন্ন কেন্দ্রে ভুল প্রশ্নে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

প্রশ্ন হচ্ছে এ ধরনের ঘটনা ঘটে কী করে? পরীক্ষাকেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা যে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারেননি, এসব ঘটনা তো তারই প্রমাণ। কোনো ক্ষেত্রে বলা হয়েছে এ জন্য পরীক্ষার্থীদের কোনো ক্ষতি হবে না। কিন্তু ক্ষতি যা হওয়ার তা তো হয়েই গেছে। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বয়স অল্প। জীবনের সবচেয়ে বড় পরীক্ষাটি দিতে গিয়ে এ ধরনের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে তাদের। এতে তাদের কোমল মনে যে ছাপ পড়েছে, তার প্রভাব তো আগামী পরীক্ষাগুলোতেও থাকবে। যে উদ্বেগ পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের ওপর পড়েছে, তার দায় কে নেবে?

এ বিষয়ে একটি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। এ ধরনের ভুলের দায় কোনোভাবেই যেন পরীক্ষার্থীদের ওপর না বর্তায়। ভবিষ্যতে কোনো পরীক্ষায় যেন এ ধরনের কোনো ভুল না হয় সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা - dainik shiksha মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা - dainik shiksha দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0029518604278564