ভুযা সনদে নিয়োগ ও এমপিওভুক্ত হওয়ায় মেহেরপুর সদর উপজেলার মোমিনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিষয়ের শিক্ষক মো: মুজিবর রহমানের কাছ থেকে এমপিওর টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত নেয়ার সুপারিশ করেছে এমপিও পুনির্বিবেচনা কমিটি। গত সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত এমপিও পুনর্বিবেচনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জানা গেছে, নিয়োগ প্রাপ্তির সময় মোমিনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিষয়ের শিক্ষক মো: মুজিবর রহমানের কম্পিউটার সনদটি নট্রামস অনুমোদিত ছিলো না। পরবর্তীতে তিনি সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতাধীন চুয়াডাঙ্গার শহর সমাজসেবা কার্যালয় থেকে ২০১৪ খ্রিস্টাব্দের ১ অক্টোবর থেকে ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের ৩১ মার্চ পর্যন্ত কম্পিউটার কোর্স সম্পন্ন করে সনদ অর্জন করেন। কিন্তু নিয়োগের সময় সনদ অননুমোদিত প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ২১ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে তার বেতন ভাতার সরকারি অংশ (এমপিও) সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়।
এ প্রেক্ষিতে মেহেরপুর-১ আসনের সাংসদ ফরহাদ হোসেন মোমিনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিষয়ের শিক্ষক মো: মুজিবর রহমানের এমপিও ছাড়করণের সুপারিশ ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে।
সাংসদের সুপারিশের প্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে থেকে কম্পিউটার শিক্ষক মুজিবর রহমানের সনদ সম্পর্কে সুস্পষ্ট মতামত দিতে বলা হয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে। ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের ৪ অক্টোবর শিক্ষা অধিদপ্তরের এক চিঠিতে জানানো হয়, মেহেরপুরের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মতামত অনুযায়ী তার সনদটি চুয়াডাঙ্গা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে অর্জিত এবং সনদটি ‘নট্রামস’ কর্তৃক ইস্যুকৃত। তাই সনদটি সঠিক।
বিষয়টি এমপিও পুনর্বিবেচনা কমিটির সভায় উত্থাপিত হয়। কমিটির সিদ্ধান্ত নেয়, নিয়োগকালীন সময় কাম্য যোগ্যতা না থাকায় আবেদন বিবেচনা করার সুযোগ নেই। নিয়োগ বৈধ না হওয়ায় তার ইনডেক্স বাতিল ও মুজিবর রহমান গৃহীত বেতন ভাতার সরকারি অংশের (এমপিও) টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত নেয়ার সুপারিশ করে এমপিও পুনর্বিবেচনা কমিটি। পুনর্বিবেচনা কমিটির এ সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য বিষয়টি শিক্ষা অধিদপ্তরকে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।