ছাত্রলীগের আনন্দর্যালির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মঞ্চ ভেঙে পড়ে গেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা। শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অপরাজেয় বাংলায় এ ঘটনা ঘটে। তবে, মঞ্চ ভেঙে পড়ার পর পরই উঠে দাড়ান ওবায়দুল কাদের। এসময় তিনি বলেন, এতো নেতা আমার দরকার নেই। যেকোনো মঞ্চে গেলে সামনের লোকের চেয়ে মঞ্চে বেশি। এতো নেতা কেনো। নেতা উৎপাদনের এতো বড় কারখানা আমাদের দরকার নেই।
বিকেল চারটার কিছুক্ষণ আগে শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শুরু করেন ওবায়দুল কাদের। এসময় মঞ্চের ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ও বর্তমান নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্যের এক পর্যায়ে মঞ্চ ভেঙে সবাই পড়ে যান।
এ দুর্ঘটনার পর অনুষ্ঠানস্থলে হট্টোগোল শুরু হয়। তবে, কিছুক্ষণের মধ্যেই উঠে দাঁড়ান ওবায়দুল কাদের। তিনি পরে পায়রা ওড়ান ও আনন্দর্যালির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সমাপনী ঘোষণা করেন।
এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, আজতো এটা স্টেজ ভেঙে পরেছে, এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। আমি বলবো, নেতাদের মঞ্চে ওঠা নিয়ে, এতো নেতা আমার দরকার নেই। আমাদের কর্মী দরকার। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট কর্মী দরকার। যেকোনো মঞ্চে গেলে সামনের লোকের চেয়ে মঞ্চে বেশি। এতো নেতা কেনো। নেতা উৎপাদনের এতো বড় কারখানা আমাদের দরকার নেই।
এর আগে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতীম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শোভাযাত্রায় যোগ দিতে রাজধানীর সব থানা এবং ইউনিটের নেতাকর্মীরা জড়ো হোন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাস থেকে এই শোভাযাত্রা শুরু হওয়ার কথা। শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হিসেবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের অংশ নেয়ার কথা আছে। এছাড়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ এর অন্তর্গত সকল থানা ও ওয়ার্ড ও ইউনিটির নেতাকর্মীরা এই শোভাযাত্রায় অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।
এর আগে গত ২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর ছাত্রলীগের যৌথ বার্ষিক সম্মেলনে দেড় ঘণ্টার বেশি সময় মঞ্চে বসে থেকেও বক্তৃতা দিতে পারেননি আমন্ত্রিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতারা। এ নিয়ে সভা মঞ্চেই ক্ষোভ ঝেড়েছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। একই সঙ্গে ছাত্রলীগের বিশৃঙ্খলা নিয়েও ক্ষুব্ধ হয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছিলেন, কথা শুনবে না, এই ছাত্রলীগ আমাদের দরকার নাই। অপকর্ম করবে, এই ছাত্রলীগ দরকার নেই। আপনারা মাইক ধরলে ছাড়েন না। আজকে জুমার দিন খেয়াল থাকে না। এই ছাত্রলীগ আমরা চাই না। সুশৃঙ্খল করুন। সুসংগঠিত করুন।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।