নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর মডেল টেস্ট পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। পরীক্ষার চার দিন আগে ১২ জুলাই কোমলমতি পরীক্ষার্থীদের হাতে হাতে পৌঁছে যায় প্রশ্নের কপি।
উপজেলার ১১৫ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩ শতাধিক কিন্ডার গার্টেনের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার বেশ কিছু ছাত্রছাত্রীর হাতে চলে যায় ফাঁস হওয়া প্রশ্নের কপি।
রূপগঞ্জ উপজেলার সব মডেল টেস্ট পরীক্ষা কেন্দ্রে অভিন্ন প্রশ্ন হওয়ার কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সহজে তা ছড়িয়ে পড়ছে। মুহূর্তে গ্রামে গ্রামে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে প্রশ্নের কপি। আগেই প্রশ্ন হাতে পেয়ে যাওয়ায় দিন দিন পড়াশোনায় তাদের অনীহা বাড়ছে।
এসব বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিস নির্বিকার। তারা বলছেন, এর দায় প্রধান শিক্ষকদের। প্রধান শিক্ষকদের কেউ কেউ বলছেন, প্রশ্ন প্রণয়ন, কম্পিউটার কম্পোজ, প্রশ্ন দেখা, প্রশ্ন ছাপা, প্রশ্ন শিক্ষা অফিসে বিতরণ ও সংরক্ষণের কোনো একটি জায়গায় ত্র“টি হলেই প্রশ্ন ফাঁস হয়। প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার সুযোগ নেই।
১৫ জুলাই উপজেলা শিক্ষা অফিস মডেল টেস্ট পরীক্ষা কেন্দ্রের নির্ধারিত প্রধান শিক্ষকদের কাছে প্রশ্ন হস্তান্তর করেন। কিন্তু পরীক্ষার ৪ দিন আগে ১২ জুলাই রাতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এ পরীক্ষার প্রশ্ন।
প্রশ্নের কপি স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছেও আছে, যা পরীক্ষার পর মূল প্রশ্নের সঙ্গে হুবহু মিল পাওয়া গেছে। আজ ১৮ জুলাই বুধবার বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ফাঁস হওয়া প্রশ্নের ৪নং এ আছে- ক. অপারেশন সার্চলাইট কী?
খ. কত সালে পলাশীর যুদ্ধ হয়েছিল? গ. বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক নিদর্শনের নাম লেখ। ঘ. বাংলাদেশের অর্থনীতির শতকরা কতভাগ কৃষি থেকে আসে? ঙ. অতিরিক্ত জনসংখ্যা কি? চ. দুর্যোগ কাকে বলে? ছ. বেগম রোকেয়া কে ছিলেন? ১৬ জুলাই ইংরেজি পরীক্ষা ও ১৭ জুলাই বাংলা পরীক্ষায় ফাঁস হওয়া প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়া গেছে।
এদিকে উপজেলা শিক্ষা অফিসের নির্ধারিত পরীক্ষার ফি জনপ্রতি ৩৫ টাকা হলেও কোনো কোনো কেন্দ্রের কিন্ডারগার্টেন মালিকদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৫০ টাকা হারে আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।