প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে গতকাল বুধবার মধ্যরাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। রাজধানীর রমনা থানায় করা এই মামলায় প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক (সাভারে কর্মরত) শামসুজ্জামানকেও আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া আসামিদের মধ্যে ‘সহযোগী ক্যামেরাম্যান’সহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরাও রয়েছেন।

এই মামলার বাদী আইনজীবী আবদুল মালেক (মশিউর মালেক)। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা হওয়ার বিষয়টি গত রাত দেড়টার দিকে নিশ্চিত হয় প্রথম আলো। পরে রাত ১টা ৫৫ মিনিটে মামলার বাদী আবদুল মালেকের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেছে প্রথম আলো। তিনি নিজেকে হাইকোর্টের আইনজীবী পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘মামলাটার আমি এজাহার দায়ের করেছি, হয়েছে (মামলা) কি না, জানি না। হয়েছে কি না, ওরা (পুলিশ) যোগাযোগ করেছে কোথায় কোথায়, পুলিশের ব্যাপার তো, বোঝেন না।’ 

আরও পড়ুন : 

প্রথম আলোর সাংবাদিককে সিআইডি পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

কোর্ট হাজতে প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রমনা থানার পরিদর্শক আবু আনছারকে। 

এই মামলার বিষয়ে রমনা থানার পুলিশ কোনো তথ্য দিতে রাজি হয়নি। মামলায় আনা অভিযোগ সম্পর্কে জানতে প্রথম আলোর দুজন প্রতিবেদক রমনা থানায় যান গত রাত সাড়ে ১২টার দিকে। দেড় ঘণ্টা চেষ্টা করেও থানার ভেতরে প্রবেশ করতে পারেননি তাঁরা। এ সময় থানার সামনে বিভিন্ন গণমাধ্যমের কয়েকজন সাংবাদিক অবস্থান করেছিলেন। তাঁদেরও থানায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তবে গেটের বাইরে থেকে বোঝা যাচ্ছিল, থানার ভেতরে পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি অনেক মানুষের আনাগোনা ছিল। 

রাত ১টা ৩০ মিনিটের দিকে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান থানা ভবন থেকে তড়িঘড়ি করে গাড়িতে উঠে বেরিয়ে যান। সাংবাদিকেরা তাঁর গাড়ির সামনে গিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেন। কিন্তু গাড়ি না থামিয়েই চলে যান তিনি। 

আরও পড়ুন 

সাংবাদিক গ্রেফতারে সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ

প্রথম আলোর সাংবাদিককে তুলে নেয়ার ঘটনায় এডিটরস গিল্ডের উদ্বেগ

ওসি চলে যাওয়ার পর থানার বাইরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের মধ্য থেকে একজনকে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। তখন প্রথম আলোর একজন প্রতিবেদক থানা ভবনের ভেতরে ঢুকে কর্তব্যরত উপপরিদর্শক (ডিউটি অফিসার) হাবিবুর রহমানের কাছে মামলার বিষয়টি জানতে চান। একই সঙ্গে মামলার এজাহারের অনুলিপি চান। তখন তিনি বলেন, ‘কাল (বৃহস্পতিবার) সকালে আসেন। এখন আমার কাছে কপি (মামলার) নেই। অন্যভাবে সংগ্রহ করেন।’

সূত্র: প্রথম আলো 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষক লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিটিএর - dainik shiksha শিক্ষক লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিটিএর মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি - dainik shiksha মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি আন্দোলনে অসুস্থ ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী - dainik shiksha আন্দোলনে অসুস্থ ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই - dainik shiksha প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই জলবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শিক্ষা খাতে - dainik shiksha জলবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শিক্ষা খাতে বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ - dainik shiksha বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ এমপিওভুক্তি: দীপু মনির ভাই টিপুচক্রের শতকোটি টাকার বাণিজ্য - dainik shiksha এমপিওভুক্তি: দীপু মনির ভাই টিপুচক্রের শতকোটি টাকার বাণিজ্য অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা - dainik shiksha অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর - dainik shiksha ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন - dainik shiksha বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী - dainik shiksha একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0056090354919434