গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র ঋণ খেলাপির দায়ে বাতিল করা হয়েছে। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, আমার প্রতি অবিচার করা হয়েছে। আমি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করব। প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্টে যাব।
রোববার বেলা পৌনে ১১টার দিকে গাজীপুর শহরেরে বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে স্থাপিত সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। যাচাই শেষে জাহাঙ্গীর আলমসহ তিন মেয়র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম।
মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণার সময় অডিটরিয়ামে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। এ সময় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘আমার প্রতি অবিচার করা হয়েছে। পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে। ব্যাংকের পাওনার ইনস্টলমেন্ট (কিস্তি) জমা দেওয়ার কথা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ লিখিত ও মৌখিক জবানবন্দি দিয়েছে। তারপরও আপনারা যে কাজটি করলেন, তাতে পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে।’
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি ন্যায়বিচার চাই। আমি আপিল করব। প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্টে যাব। আমি সবশেষ লড়ে যাব। আমি দেশবাসীর কাছে জানতে চাই, একজন প্রার্থী হিসেবে, একজন মানুষ হিসেবে ন্যায়বিচার পাব কি না।
এদিকে মেয়রপদে জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়ন বাতিল হলেও বৈধ রয়েছে তার মা জায়েদা খাতুনের মনোনয়নপত্র। যাচাই শেষে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খান ও জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুনসহ ৯ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।
এর আগে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর দীর্ঘদিন রাজনীতির মাঠের বাইরে ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। তবে কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগ তাকে ওই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা করলেও গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়নি।
তফসিল ঘোষণার পর অনেকটা চুপ ছিলেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর। তবে শেষ মুহূর্তে এসে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দুটি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন তিনি। একটি নিজের জন্য অন্যটি তার মা'র জন্য।