মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তার বিনানুমতিতে নথির ছবি তুলে ধরা শিক্ষক

নিজস্ব প্রতিবেদক |

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তার অফিসকক্ষে তার অনুপস্থিতিতে এবং বিনাঅনুমতিতে নথির ছবি তুলে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক আতাউর রহমান। অফিস রুমে কর্মকর্তার অবর্তমানে ছবি তোলার বিষয়টি একজন কর্মচারীর নজরে পড়ে। এ ঘটনায় তাকে পুলিশে দেয়ার উদ্যোগ নেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। তবে, অন্যায় স্বীকার করায় বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে একাধিক কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানিয়েছেন। গত বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের একজন উপসচিবের কক্ষে এসব ঘটনা ঘটে। একজন শিক্ষকের নৈতিক ও মানসিক অবস্থার এমন অবনতি নিয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীরা হাসাহাসি করেন। তারা নানা কথা বলেন আতাউরকে নিয়ে।   

জানা গেছে, আতাউর রহমান বাংলাদেশ সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদ নামের একটি সংগঠনের নিবন্ধনবিহীন ও ফেসবুকভিত্তিক সংগঠন বানিয়ে নিজেই সেটার নেতা বনে গেছেন কয়েক বছর আগে।   

মন্ত্রণালয় সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বুধবার দুপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে আসেন আতাউর। নামাজ ও লাঞ্চ বিরতির সময় মন্ত্রণালয়ের কলেজ শাখার উপসচিব মো. আলমগীর হোসেন নামাজ পড়তে যান। আতাউর এ সময় তার রুমে ঢুকে কয়েকটি গোপনীয় নথির ছবি তোলেন। এসময় একজন কর্মচারী বিষয়টি দেখে ফেলেন। উপসচিব নিজ কক্ষে ফিরলে তাকে বিষয়টি জানানো হয়। পরে আতাউরকে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। জেরার মুখে নথির ছবি তোলার কথা স্বীকার করে আতাউর। এ ঘটনায় তাকে পুলিশে দেয়ার উদ্যোগ নেন কর্মকর্তারা। এক পর্যায়ের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ও ক্ষমা চাওয়ায় আতাউরকে ছেড়ে দেন তারা।

এ বিষয়ে জানতে শুক্রবার দৈনিক শিক্ষাডটকমের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. আলমগীর হোসেনের সঙ্গে। তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘নথির ছবি তোলার সময় আমি কক্ষে ছিলাম না। আমি নামাজ শেষে ফিরে আসলে একজন পিয়ন আমাকে জানায় আতাউর রহমান আমার টেবিলে থাকা নথির ছবি তুলেছেন। একজন কর্মকর্তার টেবিলে থাকা নথির ছবি তাকে না জানিয়ে তোলা যায় না।’

তিনি আরও জানান, আতাউর ভুল স্বীকার করেছেন। তাই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। 

বৃহস্পতিবার বিকেলে অপর দুইজন শিক্ষক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘আজ আমাদেরকে পেয়ে একজন উপসচিব আতাউরের কাণ্ড বর্ণনা করেন। আতাউরের ঘটনায় আমরাও ক্ষমা চেয়ে  এসেছি। শিক্ষকদের সম্মান নিজেরাই নষ্ট করলে অন্যরা কেউ উদ্ধার করে দেবেন না।’ 

অভিযোগের বিষয়ে আতাউরের বক্তব্য জানার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।  

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল  SUBSCRIBE   করতে ক্লিক করুন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
কাল থেকে শিক্ষা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চলবে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় - dainik shiksha কাল থেকে শিক্ষা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চলবে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বাড়ানোর নির্দেশ রাষ্ট্রপতির - dainik shiksha বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বাড়ানোর নির্দেশ রাষ্ট্রপতির ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ - dainik shiksha ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ - dainik shiksha সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ - dainik shiksha নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিনিয়র আইনজীবীরা বিচার বিভাগের স্বার্থে কথা বলবেন, আশা প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha সিনিয়র আইনজীবীরা বিচার বিভাগের স্বার্থে কথা বলবেন, আশা প্রধান বিচারপতির দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0054128170013428