মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতায় দুদকের হস্তক্ষেপ: খুরশীদ আলম

নিজস্ব প্রতিবেদক |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিংবাণিজ্য বন্ধ করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতার কারণেই দুর্নীতি দমন কমিশনকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে কোচিং বিষয়ে টকশোতে অংশ নিয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি। টকশোতে গত ৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের একটি রায়ের বরাত দিয়ে দুদক আইনজীবীকে প্রশ্ন করা হয়, ‘ব্যাংক-বিমা-ভূমিসহ বড় বড় রাঘব বোয়ালরা দুর্নীতিতে সক্রিয় থাকতে শিক্ষকদের নিয়ে কেন ব্যস্ত হয়ে পড়েছে দুদক।  জবাবে খুরশীদ আলম বলেন, ‘কোচিংবাজ শিক্ষক, বছরের পর বছর যারা একই সরকারি হাইস্কুল-কলেজে রয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কোনও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতার কারণেই দুদককে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে।’ ‘শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান বন্ধের কোনও আদেশ দেননি হাইকোর্ট  বিভাগ,’ যোগ করেন তিনি। গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত ওই টকশোতে আরও অংশ নেন সাবেক শিক্ষাসচিব ও দৈনিক শিক্ষার প্রধান উপদেষ্টা মো. নজরুল ইসলাম খান।   
 
উল্লেখ্য, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং–বাণিজ্য বন্ধে সরকারের করা নীতিমালা বৈধ ঘোষণা করে গত ৭ ফেব্রুয়ারি রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। ২০১২ খ্রিস্টাব্দে ওই নীতিমালা করা হয়েছিল।  বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এ রায় দেন।
 
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং–বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা প্রণয়নের পর এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সাত বছর আগে একটি রিট করেন পাঁচ শিক্ষার্থীর অভিভাবক। কোচিং–বাণিজ্যে জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুদকের সুপারিশ, নীতিমালা ও কারণ দর্শাতে দেওয়া চিঠির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কয়েকজন শিক্ষক ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে পৃথক তিনটি রিট করেন। রিট আবেদনকারী শিক্ষকদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম আমীর–উল ইসলামসহ কয়েকজন।  রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। 
 
দুদকের এখতিয়ার আছে, তবে অগ্রাধিকার ঠিক করা উচিত
 
দুদক কোচিং–বাণিজ্যের অভিযোগ অনুসন্ধান ও তদন্ত করতে পারে কি না, এই প্রসঙ্গও রায়ে আসে। আদালত বলেন, দুদক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষকদের ক্ষেত্রে দুদক তদন্ত করতে পারে। তবে বেসরকারি শিক্ষকের বিষয়ে অনুসন্ধান ও তদন্ত করতে পারে না। দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান ও তদন্তে দুদকের অগ্রাধিকার তালিকা থাকা উচিত, যেখানে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার জন্য দুদকের জনবলের সংকট রয়েছে। কাস্টম হাউস, ভূমি অফিস ও আদালত প্রাঙ্গণ যেখানে দুর্নীতির সম্পৃক্ততার ইস্যু রয়েছে, সেখানে এ ধরনের শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিষয়ে দুদকের সম্পৃক্ততা সমীচীন নয়। দুর্নীতির ইস্যু বলতে যা বোঝানো হয়, তাতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষক যথাসময়ে স্কুলে গেলেন কি গেলেন না, তা অনুসন্ধান ও তদন্তের তালিকার তলানিতে থাকা উচিত।

পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0026528835296631