গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ৮১নং মিয়াঝিরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে পার্শ্ববর্তী এক মন্দির কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে। স্কুল সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, তরুণ কান্তি বিশ্বাস স্কুলের একটি মেহগনি গাছ কেটে নিয়ে গেছেন। আরও তিনটি গাছ কাটার পাঁয়তারা করছেন তিনি। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খুকু রানী বাছাড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ আগস্ট মিয়াঝিরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি বড় মেহগনি গাছ পার্শ্ববর্তী শিব মন্দির কমিটির সভাপতি তরুণ কান্তি বিশ্বাস মন্দিরের গাছ দাবি করে জোরপূর্বক লোকজন নিয়ে কেটে নিয়ে গেছেন। তিনি গাছটি ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। এ ছাড়া তিনি আরও তিনটি কড়াই গাছ কাটার পাঁয়তারা করছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খুকু রানী বাছাড় গাছটি স্কুলের দাবি করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘গাছটি সম্পূর্ণ স্কুলের জায়গায় লাগানো ছিল। স্কুলের গাছ মন্দির কমিটির সভাপতি তরুণ কান্তি বিশ্বাস জোর করে কেটে নিয়ে গেছেন। বাধা দিলেও তিনি তা মানেননি।’
মন্দির কমিটির সভাপতি তরুণ কান্তি বিশ্বাস গাছ কাটার কথা স্বীকার করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘গাছটি আমাদের শিব মন্দিরের জায়গায় লাগানো ছিল। তাই মন্দিরের উন্নয়ন কাজের জন্য গাছটি কেটে বিক্রি করে দিয়েছি।’
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পরিমল চন্দ্র বালা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘বিষয়টি আমাকে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মোবাইলে জানিয়েছেন। আমি বিষয় তদন্তের জন্য সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা নবকৃষ্ণকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম মাঈন উদ্দিন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘আমি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে স্কুল ও মন্দিরের জায়গার সীমানা নির্ধারণ করে দু’পক্ষের বিরোধ নিরসন করতে বলেছি। তবে গাছ স্কুলের হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’