প্রজনন বাড়াতে গত ১২ অক্টোবর থেকে নিষিদ্ধ ইলিশ ধরা। আগামী ২ নভেম্বর অবধি এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। এ সময়ে কেউ যাতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ নিধন করতে না পারে সেজন্য নিয়মিত টহল থাকার কথা নদীতে। কিন্তু ঝালকাঠীর নলছিটিতে সরকারি সব নিয়ম উপেক্ষা করে চলেছেন উপজেলা মৎস্য অফিসের দেশীয় শামুক ও ঝিনুক রক্ষা প্রকল্পের মাঠ সহায়ক আরিফ সিকদার। জেলেদের অভিযোগ, নৌকাপ্রতি প্রতিদিন ২ হাজার টাকা ও ৫ কেজি ইলিশ নিয়ে জেলেদের মাছ শিকারে নামিয়ে দিচ্ছেন তিনি। চুক্তিমতো টাকা ও মাছ না পেলে ঘরের ঘাটে বেঁধে রাখা নৌকাও নিয়ে যাচ্ছেন।
নলছিটির মগড় ইউনিয়নের জেলে নজরুল, এনায়েত শরীফ, রুবেল ও মিরাজ দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, নলছিটি উপজেলা মৎস্য অফিসের কর্মচারী আরিফ সিকদার নিষেধাজ্ঞার সময়েও আমাদের উৎসাহ দিয়ে ইলিশ শিকারে নদীতে নামিয়েছেন। বিনিময়ে তাকে প্রতিদিন ২ হাজার টাকা ও ৫ কেজি ইলিশ দিতে হয়। নদীতে মাছ না পাওয়ায় তাকে টাকা দিতে পারিনি বলে গত ২৬ অক্টোবর অভিযানের নামে আমাদের বাড়ির পাশের ছোট খালে ও নদীর তীরে বেঁধে রাখা নৌকা ও জাল সব নিয়ে গেছেন। এমনকি এক পঙ্গু ব্যক্তির চরে ঘাস কাটতে যাওয়া নৌকাও নিয়ে গেছেন।
জানা গেছে, আরিফ সিকদার উপজেলার কুশাংগাল ইউনিয়নের সরমহল গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে ৪ বছর মেয়াদি প্রকল্পের মাধ্যমে উপজেলা মৎস্য অফিসে মাঠ সহায়ক হিসেবে চাকরি নেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে দৈনিক আমাদের বার্তাকে আরিফ সিকদার বলেন, অভিযোগের প্রমাণ নিয়ে আসেন। যারা অভিযোগ করেছেন, তারা মিথ্যা বলেছেন।
এ বিষয় জানতে চাইলে ঝালকাঠি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, আমার কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি, কেউ অভিযোগ করলে খতিয়ে দেখবো।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।