ছাত্ররাজনীতি বন্ধ নয়, বরং রাজনৈতিক দলগুলোর যে পরিমাণ আশ্রয়-প্রশ্রয় ছাত্রসংগঠনগুলো পায়, তা বন্ধ করতে হবে। অপরাধী যে-ই হোক, তাকে শাস্তি দিতে হবে। ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করলেই শিক্ষাঙ্গনে শৃঙ্খলা ফিরবে না। ছাত্রসংগঠনগুলোর অন্যায় বন্ধ করতে হবে, রাজনৈতিক দলগুলো যেন তাদের অন্যায়ের সুযোগ না দেয়। তাহলে ছাত্ররাজনীতি সুফল বয়ে আনবে। যেমন—আগে ছাত্ররাজনীতির সুফলই বেশি ছিল। বড় অনেক আন্দোলনের মূলে ছিল ছাত্রসংগঠনগুলো। মাথা ব্যথা হলে মাথা কেটে ফেললে তো মারা যেতে হবে, বরং সমস্যাটি কোথায় সেটি চিহ্নিত করে কাজ করতে হবে। শনিবার (১২ অক্টোবর) কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়।
নিবন্ধে আরও বলা হয়, এখন যেটি হয় সেটি হলো ছাত্রসংগঠনের নেতারা অপকর্ম করেন। মিডিয়ায় সেটি চলে এলে তাঁদের দলের নেতারা আশ্রয় দেন। তাঁর পক্ষে সাফাই গান। ফলে অপরাধীরা আরো আশকারা পেয়ে যান। অপরাধ বাড়ে বৈ কমে না। বুড়ো, তিন সন্তানের বাবা—এমন লোকেরা হন ছাত্রসংগঠনের নেতা। এঁরাই দলের নামে টেন্ডার, চাঁদাবাজি করে বেড়ান। বলা যায়, মূল রাজনৈতিক দলগুলোর ছাত্রসংগঠনগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ নেই বললেই চলে। কারণ দুষ্ট, অপরাধী ছাত্রনেতাদের দলের নেতারা তাঁদের স্বার্থে কাজে লাগান। একটি অপরাধীচক্র গড়ে উঠেছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেই ভালো হবে, যদিও দলে এরা বেশ শক্ত অবস্থানে থাকে। তাই বন্ধ নয়, ছাত্ররাজনীতি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে যেন পরিচালিত হয় সেই ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
মুহাম্মদ শফিকুর রহমান : বানারীপাড়া, বরিশাল।